banner

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 614 বার পঠিত

তাহাদের দিন কাল

ssssssssssনব্বইয়ের দশকে টিভি পর্দা মাতিয়ে রাখা চার তারকা বিপাশা হায়াত, শমী কায়সার, আফসানা মিমি ও সাদিয়া ইসলাম মৌ এখন কেমন আছেন? কী করছেন? সেসব বিষয় অনুসন্ধান করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন আলমগীর কবির-

 

বিপাশা হায়াত

২২২২২২২২২২

বিপাশা হায়াত ও তৌকীর আহমেদ পর্দা ও পর্দার বাইরে সফল দম্পতি। জনপ্রিয় এই তারকা জুটি এখন সফল উদ্যোক্তা। গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে তারা গড়ে তুলেছেন ‘নক্ষত্রবাড়ি’ নামে একটি রিসোর্ট। মূলত একটি সবুজ গ্রামের আদলে গড়ে তোলা এই রিসোর্টের অনেকটা অংশজুড়ে প্রাধান্য পেয়েছে বিপাশার চিত্রকর্ম। এখানে নাটক ও চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের পাশাপাশি অবকাশ যাপনের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। আছে একটি সাজানো-গোছানো কনফারেন্স সেন্টার। সারা বছর পিকনিক করার পাশাপাশি সপরিবারে রাত যাপনের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাসহ এখানে আছে কয়েকটি কটেজ। রিসোর্টটি দেখাশোনার পাশাপাশি লেখালেখি, চিত্রকর্ম আর দুই ছেলেমেয়েকে নিয়েই বেশির ভাগ সময় ব্যস্ত থাকেন বিপাশা। মূলত এ কারণেই এখন বিশেষ দিবস ছাড়া তাকে ক্যামেরার সামনে দেখা যায় না।

 

আফসানা মিমি

1111

শোবিজে পথচলার ২৫ বছরের বেশি সময় অতিক্রম করেছেন আফসানা মিমি। তার অভিষেক হয়েছিল মঞ্চে। ১৯৮৬ সালে ব্যতিক্রম নাট্যগোষ্ঠীর হয়ে প্রথম মঞ্চে ওঠেন তিনি। অভিনয় করেন মনোজ মিত্রের ‘রাজদর্শন’ নাটকের রানী চরিত্রে। নাটকটি নির্দেশনা দেন মরহুম সৈয়দ মহিদুল ইসলাম। একই নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য গাজী রাকায়েতের মাধ্যমে পরে তিনি নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত হন। এ প্রসঙ্গে আফসানা মিমি বললেন, ‘নাগরিকে এসে আসলে আমি বুঝতে পারি থিয়েটার জিনিসটা কী! বুঝতে পারি, অভিনয়ের মতোই থিয়েটারের অন্য কাজগুলোও গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি আরো বলেন, ‘নাট্যব্যক্তিত্ব আলী যাকেরকে আমি গুরু মানি। আমি যখন নাগরিকে যুক্ত হই, তখন সব বিখ্যাত মানুষের সমাবেশ ছিল গ্রুপে। জামালউদ্দিন হোসেন, রওশন আরা হোসেন, আলী যাকের, সারা যাকের, ড. ইনামুল হক, লাকী ইনাম, আবুল হায়াত, আসাদুজ্জামান নূর, নিমা রহমান, খালেদ খানসহ অনেকে। নাগরিকে যুক্ত হওয়ার পর এমন সব গুণী মানুষের সান্নিধ্যে আমার ভেতরে যেন বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে।’ আরো জানালেন, নাগরিকের হয়ে প্রথম মঞ্চে উঠেছিলেন শেক্সপিয়রের ‘হ্যামলেট’ অবলম্বনে আলী যাকের রচনা ও নির্দেশনায় ‘দর্পণ’ নাটকের কোরাস দলের একজন হয়ে। পরে অভিনয় করেন ‘নূরুলদীনের সারা জীবন’, ‘দর্পণে শরৎশশী’, ‘ঈর্ষা’ প্রভৃতি নাটকে। সর্বশেষ আফসানা মিমিকে গত রোজার ঈদে এনটিভিতে ‘আকাশ জোড়া মেঘ’ শিরোনামে একটি টেলিছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। অভিনয়ের চেয়ে আফসানা মিমি এখন বেশি মনোযোগী পরিচালনার দিকে। নাটক দিয়ে শুরু করলেও চলতি বছরের শুরুর দিকে তিনি হাতে নিয়েছেন ফিচারধর্মী চলচ্চিত্র ‘রান’র কাজ। স্বাধীনতা যুদ্ধের গল্প নিয়ে নির্মিতব্য ছবিটির চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ‘ক্যাম্প’ উপন্যাস অবলম্বনে। এতে অভিনয় করছেন আফজাল হোসেন, সুবর্ণা মুস্তাফা, আজিজুল হাকিম, ডলি জহুল প্রমুখ।

 

সাদিয়া ইসলাম মৌ

035

খাঁটি সোনা যত পুরনোই হোক এর রঙ কখনো মলিন হয় না। আমাদের শোবিজে এ রকম হাতেগোনা কিছু সোনার মধ্যে অন্যতম হলেন সাদিয়া ইসলাম মৌ। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি যিনি ঝড় তুলেছিলেন মিডিয়ায়। মডেলিংয়ে যোগ করেছিলেন নতুন দ্যুতি। টিভিতে প্যাকেজ নাটক প্রচারের শুরুর দিকে কয়েকটি নাটকে অভিনয় করে দেখিয়েছিলেন চমক। নৃত্যশিল্পকে জনপ্রিয় করতেও রেখেছেন অবদান। তাকে ঘিরে দেশজুড়ে যখন তুমুল ক্রেজ, ঠিক সেই সময় টুপ করে বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়েন। ভালোবেসে ঘর বাঁধেন জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসানের সাথে। বিয়ের পরও সাদিয়া ইসলাম মৌকে মডেলিং করতে দেখা গেছে। অভিনয় করেছেন টিভি নাটকে। নৃত্য পরিবেশন করেছেন স্টেজে ও টিভি অনুষ্ঠানে। মিলেনিয়ামে পদার্পণের সময় থেকে একটু একটু করে নিজেকে গুটিয়ে নেন। একটা সময় চলে যান পুরোপুরি পর্দার অন্তরালে। এ সময় অবশ্য জাহিদ-মৌ দম্পতির কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে সন্তান পুষ্পিতা। বহু নাটক আর মডেলিংয়ের অফার থাকলেও প্রায় ছয়-সাত বছর সাড়া দেননি মৌ। দুই-তিন বছর ধরে বিভিন্ন চ্যানেলে ঈদের প্রোগ্রামে কয়েকটা নাচের অনুষ্ঠানে তাকে নৃত্য পরিবেশন করতে দেখা গেছে। বাস্তব জীবনের মতো এবার টেলিছবিতে জাহিদ হাসানের সাথে জুটি বাঁধছেন মৌ। নাম ‘আর কিছু নাই বাকি’। লিখেছেন তৌহিন হাসান, পরিচালনা করবেন দীপঙ্কর দীপন। পরিচালক জানালেন, আজ বৃহস্পতিবার থেকে টেলিছবিটির শুটিং শুরু করবেন তিনি। জাহিদ হাসান ও মৌ সর্বশেষ একসাথে অভিনয় করেন আফসানা মিমির ধারাবাহিক নাটক পৌষ ফাগুনের পালাতে। প্রচারিত হয়েছিল এটিএন বাংলায়। একটি টেলিছবিতেও কাজ করেছিলেন তারা। নাম ‘সেই চোখ’। তাও বছর তিনেক আগের কথা।

Facebook Comments