banner

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 522 বার পঠিত

 

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি’ বললে ধর্ষক আমাকে মেরে ফেলবে

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি’ বললে ধর্ষক আমাকে মেরে ফেলবে


তামান্না সেতু


একটা সাক্ষাৎকারে মেয়েটা বলেছে, “সে আমাকে জিজ্ঞেস করছিল আমি কি করি, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি এটা বলিনি, আমার মনে হয়েছে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি’ বললে সে আমাকে মেরে ফেলবে”!

ক্রিমিনাল সাইকোলজিস্টরা এই লাইনটি নিয়ে ভাবুন। ঠিক কী কারনে নারীর উপর হিংস্রতা বাড়ছে গবেষণা করুন। একটি মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে এটি তাকে হত্যার, ধর্ষণের কারণ হতে পারে এই ভাবনা আসছে কোথা থেকে ভাবুন।

এসব এক দিনে হয়নি। এই একজন ধর্ষককে ধরে শাস্তি দিয়েও এই ঘটনা থেকে কিন্তু মুক্তি নেই। এই হিংস্রতার খোরাক রোজ যোগান দেয়া হয়! বারবার বলা হয়, ‘মাইয়া মানুষ ক্যান বাড়ির থিকা বাইর হবে? তারা কেন কলেজ ভার্সিটিতে পড়বে? কেন চাকরী করবে? একা একা চলাফেরা করবে? এইসব তো পাপ! এরা পাপী’!

ধর্ষকের বিচার চান, বিচার করুন। কিন্তু তারপর তৃপ্তিতে ঘুমিয়ে যেয়েন না। তাদের সাইকোলজিটা বুঝুন। ওটার খোরাক আসে কোত্থেকে খুঁজুন। সেই জায়গাটা বন্ধ না করে কিচ্ছু হবে না।

সেই সাহসী মেয়েটাকে আমার শত কোটি সালাম যে মার খেয়ে, রেইপড হয়ে, জ্ঞান হারিয়ে আবার উঠে দাঁড়িয়েছে। তখনো সেখানে ওই লোক উপস্থিত থাকার পরও সমস্ত শক্তি নিয়ে পালিয়ে এসেছে, গাড়ি করে ক্যাম্পাসে এসেছে এবং পুরো ঘটনা চেপে না যেয়ে পুলিশই জানিয়েছে।

ওর যা যা করার ছিল সব করেছে। আমি দোয়া করি আমাদের রাষ্ট্র যেন মেয়েটির সমান সাহসী হয়ে ওঠে। যতো দ্রুত সম্ভব লোকটি ধরা পরুক। সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। কিন্তু……. প্লিজ ক্রিমিনালের ক্রাইম করার সাইকোলজিটা পড়ুন। ভাবুন। ভেবে বের করুন….

আরো একবার মেয়েটার দেয়া স্টেটমেন্টের এই অংশটুকু পড়ুন, “সে আমাকে জিজ্ঞেস করছিল আমি কি করি, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি এটা বলিনি, আমার মনে হয়েছে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি’ বললে সে আমাকে মেরে ফেলবে”!!!!!

—তামান্না সেতু

Facebook Comments