banner

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 283 বার পঠিত

 

আসন্ন পূজা উৎসবে সেজে উঠুন স্টাইলে

শুরু হতে চলেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের উৎসবের আমেজ তথা উৎসবের সিজন। সুতরাং এখনই সময় ওয়ারড্রব থেকে ক্লাসিক আনারকলি, ঢোলা লেহেঙ্গা, লম্বা কুর্তা, লং স্কার্ট এবং অসাধারণ শাড়িগুলো বের করার। এছাড়া আপনি যদি সম্পূর্ণ ঐতিহ্যগত পোশাকে অভিনব স্টাইলে বের হতে চান, তাহলে বেছে নিতে পারেন ক্রপ টপ এবং ঢোলা লেহেঙ্গা।

আপনি যদি সমসাময়িক ফ্যাশনে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন তাহলে কিছুটা সাদাসিধে পোশাকও বেছে নিতে পারেন। এজন্য বেছে নিতে পারেন উজ্জ্বল রঙের বিচিত্র প্রিন্টের পোশাক। এই উৎসবমুখর পরিবেশকে উপেক্ষা করার মতো কোন যথাযথ কারণ নেই। রাভিনা বলেন, ‘বার্গান্ডি ভোগে এসেছে তার সুন্দর সূচিকর্ম এবং আরি কর্মের সমন্বয়ের পোশাক যা উৎসবমুখর লুক এনে দেবে। গোড়ালি পর্যন্ত লম্বা আনারকলির সাথে চিকন ও পাতলা সূচিকর্মের লং জ্যাকেট কিংবা ক্রাশ স্কার্ট এখন বড় ট্রেন্ড।’

রাজ শ্রফ, রাভাগে মনে করেন উৎসব উপলক্ষে ড্রেস আপের সময় যে কেউ নিজেকে নিয়ে পরীক্ষা করা শুরু করে দেয়। তিনি বলেন, ‘ফেস্টিভ ফ্যাশন সবসময় অনেকটা যার যার পছন্দের মতো এবং আপনি ঐতিহ্য থেকে দূরে সরে যেতে পারবেন না, কিন্তু রঙ, স্টাইল এবং নিজের পছন্দ নিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন। তরুণদের কাছে এটা অনেকাংশে আধুনিকীকরণ, তবে ভবিষ্যৎ ফ্যাশনে ভারতীয় ক্লাসিকের মতো কিছু নেই।’

আপনি যদি স্টাইলে প্লেফুল লুক নিয়ে আসতে চান তাহলে শাড়ি পরতে পারেন, তবে একটু অভিনব স্টাইলে এবং সাথে গতানুগতিক সোনা ও হীরার গহনা না পরে পরতে পারেন টেরাকোট্টা জুয়েলারি। ডিজাইনার অঞ্জলি শরমা বলেন, ‘ভারতীয় উৎসবের সবচেয়ে সুন্দর দিক হচ্ছে এখানে নিজের মতো পরীক্ষা করে নেওয়াটা গ্রহণযোগ্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই সিজনে যত বেশি সম্ভব কালার ব্যবহার করা হয়- সেটা টান্ডেম হোক আর মনোক্রোমাটিক!’

সুসান ফার্নান্ডেজ বলেন, ‘কটন ও সিল্কের তাঁতশিল্পে, সুন্দর সূচিকর্মে এবং সুবিন্যাস্ত ডিজাইনে ভারতীয় সংস্কৃতি বেশ সমৃদ্ধ। আর যখন এটা উৎসবের সময় হয় তখন এর সমৃদ্ধ কাপড়কে কথা বলতে দিন।’

Facebook Comments