banner

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 1166 বার পঠিত

 

২১শে ফেব্রুয়ারি ‘মাতৃভাষার শুদ্ধতা’

অপরাজিতা ডেক্স


আজ বুধবার ২০১৮ এর ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ৬৬ বছর পূর্ণ হল মাতৃভাষা আন্দোলনের। আজকের দিনে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে জাতিসংঘের উদ্যোগে ভাষা শহীদদের স্মরণে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়। রক্তস্নাত গৌরবে সাজানো একুশ আজ বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের ১৯৩টি দেশের মানুষের প্রাণকে অনুরণিত করে।

১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদরা জাতিকে সে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার দিয়ে গেছেন। এই জাতির মায়ের ভাষা ‘বাংলা’। এই ভাষার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমা উদ্ভাসিত।

মহান একুশে বাঙালির জীবনে শোক, শক্তি ও গৌরবের প্রতীক। রফিক, শফিউর, সালাম, বরকত ও জব্বার ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে প্রাণ দিয়েছিলেন। রক্তের বিনিময়ে মায়ের ভাষাই বরং শুধু নয় স্বাধীনতার বীজটিও সেই সময় রোপিত হয়েছিল।

২০১৮ সালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে দেশে ও দেশের বাইরে নানান আয়োজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিশু কিশোরদের জন্য বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি স্কুলের উদ্যোগে স্থানীয়ভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। কোন কোন স্কুলে বাংলা শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত করেন।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য বাংলাদেশে শুধুমাত্র ভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে তেমন কোন চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়নি।
এবং বাংলা ভাষার যত্রতত্র ব্যবহার এর জন্য কবিরা তাদের কলমে তুলে ধরেছেন অনেকটা ব্যঙ্গ করে।

প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও কবি ভবানীপ্রসাদ মজুমদার কবিতার লাইন গুল তার শক্ত প্রমাণ,

“শেক্সপীয়র, ওয়ার্ডসওয়ার্থ, শেলী বা কীটস বা বায়রন
ভাষা ওদের কী বলিষ্ঠ, শক্ত-সবল যেন আয়রন
কাজী নজরুল- রবীন্দ্রনাথ
ওদের কাছে তুচ্ছ নেহাত
মাইকেল হেরে বাংলায় ফেরে, আবেগে-উচছ্বাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসে না।”

আজ প্রায় লুপ্ত মাতৃভাষা সম্বন্ধে সচেতনতা। আজ শুদ্ধ বানান ও শুদ্ধ উচ্চারণ চর্চাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়না।

একুশে ফেব্রুয়ারি জাতীয় ছুটির দিন।

আসুন, মাতৃভাষাও শুদ্ধভাবে বলতে ও লিখতে গেলে তা শিখতে হয়, চর্চা করতে হয়—সব জাতিই তা করে। শুদ্ধ বানান ও শুদ্ধ উচ্চারণ চর্চা খুব জরুরি যার জন্য দরকার নিজের সচেতনতা। তারপর নিজে নিজে ভালো একটি উদ্যোগ নেওয়া সময়ের দাবী।

Facebook Comments