banner

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 117 বার পঠিত

ভারতে পাচার হওয়া নারীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

image_68896_0অপরাজিতাবিডি ডটকম, রাজশাহী: ভারত থেকে পালিয়ে আসা সোনিয়া আকতার (১৯) নামের এক নারীকে তার অভিভভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোনিয়া মাদারীপুর জেলার ডাসা উপজেলার কর্নপাড়া এলাকার বাসিন্দা আরজ আলী হাওলাদারের মেয়ে।

 

সোমবার দুপুরে বাবা আরজ আলী হাওলাদারের কাছে সোনিয়াকে হস্তান্তর করেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

 

ভারত থেকে পালিয়ে আসা আরেক নারী গৃহবধূ স্বপ্না আকতারকে (২০) তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। স্বপ্নার পরিবারের অভিভাবক যোগাযোগ করার পরেই তাকে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সূত্র। উদ্ধার হওয়া স্বপ্না জামালপুর জেলার মিলান্দ উপজেলার মধ্যচর এলাকার মৃত সুরুজ মন্ডলের মেয়ে।

 

নগরীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হাফিজুর রহমান জানান, গত শনিবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা স্বপ্না ও সোনিয়াকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করে শাহ মখদুম থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে হস্তান্তর করেন।

 

ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই মাছুমা মুস্তারি জানান, শনিবার বিজিবি সদস্যরা  স্বপ্না ও সোনিয়াকে উদ্ধার করে।

 

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের রমজান মাসে ভারতের চেন্নাইয়ে চাকরি দেয়ার নাম করে তাদের পাচার করে স্বপ্না আকতারের স্বামী নাজমুল হক এবং তার সহযোগীরা।

 

স্বপ্না জানান, অভাবের সংসারে দুই বেলা পেটের ভাত জোটে না। সংসারের অভাব মেটানোর কথা বলে স্বামী নাজমুল হক তাকে ভারতে চাকরির কথা বলেন। অভাবের তাড়নায় তিনি ভারতে যেতে রাজি হন। এরপর স্বপ্না তার আত্মীয় মাদারীপুর জেলার ডাসা থানার কর্নপাড়া এলাকার আরজ আলী হাওলাদারের মেয়ে সোনিয়া আকতারকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে পাড়ি জমান।

 

এরপরেই তিনি বুঝতে পারেন যে তারা পাচারের শিকার হয়েছেন। স্বামী নাজমুল তাকে ও তার আত্মীয় সোনিয়াকে পাচারকারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন।

 

উদ্ধারকৃত সোনিয়া জানান, পাচারের পরে তাদের বিক্রি করে দেয়া হয় একটি পতিতা পল্লীতে। সেখানে একটি বাড়িতে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হতো। সেখান থেকে তারা দুইবার পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেও তৃতীয়বার পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন।

 

সোনিয়া আরো জানান, তারা দুইজনে পালিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ক্যাম্পপাড়া সীমান্তে এসে বিজিবির কাছে বিষয়টি খুলে বলেন। পরে তাদের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে হস্তান্তর করা হয়।

 

ওসি হাফিজুর রহমান জানান, স্বপ্নার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে তাকেও হস্তান্তর করা হবে।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১২৩৫ঘন্টা১৮ফেব্রুয়ারি২০১৪/এ

Facebook Comments