আমার বাচ্চাদের সাথে ডিলিংস এর ব্যাপারে যেটুকু জ্ঞান জন্মেছে তার থেকে কিছু টিপস এন্ড ট্রিক্স শেয়ার করছি। হয়ত সময়ে অসময়ে আপনাদেরও কাজে লাগতে পারে।
♥ছোট হোক বা বড়, সন্তানের যেকোন সাফল্য বা ভাল কাজের জন্য প্রশংসা করুন। বাচ্চাদের জন্য প্রশংসার চেয়ে বড় টনিক হয়ত দুটো নেই।
♥অসফলতা বা কোন বিরূপ পরিস্থিতিতে সন্তান উদ্বিগ্ন হলে তাচ্ছিল্য না করে সাহস দিন। ” আমি জানি তুমি পারবে, না পারলেও চেষ্টা করে দেখো ” জাতীয় উতসাহমূলক কথাগুলো আজ না হলেও পরবর্তীতে তাদের ইতিবাচক মনোভাব তৈরী করবে।
♥তাদের শখের কাজগুলোকে মূল্যায়ন করুন। সম্ভব হলে এগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুন। মাঝে মাঝে নিজেদের হাতে গড়া পুরানো শিল্পগুলোর দিকে তাকিয়ে তারা অনেক উদ্দীপিত হবে।
♥অবসরে প্রাকৃতিক পরিবেশে একসাথে ঘুরে বেড়ানো বা সময় কাটানো যেতে পারে। এতে করে পারিবারিক বন্ধন শক্ত হওয়ার সাথে সাথে মানসিক শক্তির বিকাশ ঘটবে।
♥ঘরে বসেও অবসরে মজার কোন মুভি দেখা, গান শোনা, ছবি আকা বা গল্প বলার প্রতিযোগিতা করা যেতে পারে। বাচ্চাদের সৃজনশক্তি বাড়াতে এর জুড়ি নেই।
♥পারিবারিক অশান্তি বা মনোমালিন্যের মাঝে বেড়ে ওঠা শিশুগুলো সাধারনত বুজদিল হয়ে থাকে। ইতিবাচক চিন্তা করার মত সাহস তারা হারিয়ে ফেলে।
♥সন্তানদের রাগ, দুঃখ বা ক্ষোভকে প্রকাশ করতে দিন। এতে তার মন ভারমুক্ত হবে। বাচ্চা জেদ করে কান্নাকাটি করা কালীন ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়া মারাত্নক খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। সারাজীবন তার মনে এর নেগেটিভ প্রভাব রয়ে যায়।
♥সারাদিনে কি কি ভাল কাজ করল তার একটা ডায়রী মেইন্টেইন করতে দিন। সপ্তাহ বা মাস শেষে এগুলোর জন্য পুরষ্কার দিন। দেখবেন ওই ভাল কাজগুলো একদিন না একদিন তার অভ্যাসে পরিণত হবে।
ছোটবেলা থেকে পজিটিভ থিংকিং বা ইতিবাচক চিন্তা করতে শেখালে বয়সের সাথে সাথে এটা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়। পজিটিভ এনার্জি সঞ্চিত বাচ্চাগুলো অনেক বিরূপ পরিস্থিতেও সহজে বিচলিত হয়না, বিষন্নতায় ভুগে না। ইতিবাচক চিন্তা তাদের মনোবলকে বলিষ্ঠ করে, জীবনীশক্তিকে বাড়িয়ে দেয় অনেক বেশী। শারিরীক সুস্থতা তো বটেই, মানসিকভাবে সুস্থ সন্তান আমাদের কার না কাম্য!
সন্তানদের মাঝে পজেটিভ থটস তৈরী করুন (পর্ব-২)- ফাতিমা খান
Facebook Comments