বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস হল “পৃথিবীর সকলের মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং সচেতনতার পথ।”
১৯৯২ সাল থেকে প্রতিবছরের মত ১০ অক্টোবর পালিত হচ্ছে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। । কিছু দেশে এই দিনকে মানসিক রোগ সচেতনতা সপ্তাহের অংশ হিসাবে পালন করা হয় । সেই ১৯৯২ সময় ১৫০টি দেশের সমন্বয়ে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেন্টাল হেল্থ- এর উদ্যোগে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস।
গত সাত বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় কি কি ছিল?
আসুন এক নজরে দেখে আসি…
২০১৭ সালের প্রতিপাদ্য:
‘কর্মস্থলে মানসিক স্বাস্থ্য’
মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকলে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা বাড়বে,এই সচেতনতা বৃদ্ধি করাই এবারের মূল উদ্দেশ্য।
২০১৬ সালের প্রতিপাদ্য:
‘সবার জন্য প্রাথমিক মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা’
বর্তমান বিশ্বব্যাপী মানসিক রোগসহ অন্যান্য অসংক্রামক ব্যাধির প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। নগরায়ন, আর্থসামাজিক অবস্থা, মানসিক চাপ,বংশগতি ও অন্যান্য শরীরবৃত্তিক ও মনোসামাজিক মানসিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির অন্যতম দুটি কারণ। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়।
২০১৫ সালের প্রতিপাদ্য:
‘মানসিক স্বাস্থ্য মর্যাদাবোধ’
মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও মানুষ। তাদের সমাজে অন্যান্য ব্যক্তির মতো সম্মান ও আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে।
২০১৪ সালের প্রতিপাদ্য:
‘সিজোফ্রেনিয়ার সাথে বসবাস’
সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা অনেকেই অজ্ঞতা ও অসচেতনতার কারণে পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা পায় না। সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্তরা যাতে সবচেয়ে ভালো সেবা এবং এই রোগ থেকে উত্তরণের সুযোগ পায়, সে জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
২০১৩ সালের প্রতিপাদ্য:
“মানসিক স্বাস্থ্য এবং বয়োজ্যেষ্ঠ”
মানসিক স্বাস্থ্য এবং বয়োজ্যেষ্ঠ বা বয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্মিলিত বিষয়গুল নিয়ে খোলা বা উন্মুক্ত আলোচনায় উত্সাহিত করা। এবং প্রয়োজনে সহায়তা এবং প্রাথমিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোরদার।
২০১২ সালের প্রতিপাদ্য:
“বিষণ্নতা: একটি বিশ্বব্যাপী সঙ্কট”
পুরুষের চেয়ে নারীদের মধ্যে বিষণ্নতার হার প্রায় দ্বিগুণ। বিষণ্নতার কারণে ব্যক্তির ব্যক্তিগত, পারিবারিক, শিক্ষাগত, পেশাগত ও সামাজিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং স্বাভাবিক কর্মতৎপরতা ব্যাহত হয়।
২০১১ সালের প্রতিপাদ্য:
“মানসিক স্বাস্থ্যে বিনিয়োগ”
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য যদি বিনিয়োগ বৃদ্ধি
এবং কার্যকরী ও সম্মানজনক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়, তবে জনসংখ্যা জনসম্পদে রূপান্তরিত হবে। ফলে তা মানব ও অর্থনৈতিক উভয় ক্ষেত্রে কল্যাণকর হবে।
২০১০ সালের প্রতিপাদ্য:
“নগরায়ণ: জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ”
ঐতিহাসিকভাবে,শহর হল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি ইঞ্জিন,সংস্কৃতি কেন্দ্র। কিন্তু যখন মানব সম্ভাব্যতা অসীম হয়, তখন সম্পদ সীমিত। নগরায়ণ সমস্যার সৃষ্টি করে, কিন্তু সমাধান করতে হলে এখনই ভাবতে হবে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস’ পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয় প্রতি বছর।
রেফারেন্স: Wiki, WHO.
ফাতেমা শাহরিন