বাচ্চাদের সমস্যাগুলো নিয়ে লেখালেখি করা দরকার। সেই চিন্তা ভেবে এই লেখার সুত্রপাত।
আপনি আপনার পর্যবেক্ষণ করুন। অল্পতেই উত্তেজিত হওয়া,ভাঙ্গচুর করা,ছোট ভাইকে পিটানো,অতিরিক্ত জিদ করা,বন্ধুদের সামান্য দুষ্টুমিকেও সহ্য করতে না পারা ইত্যাদির কারণে সে ঘরে ও ঘরের বাইরে সবাইকে সব সময় ব্যস্ত রাখছে কিনা।
কিছু পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হল,
স্কুলে বা স্কুলের বাইরে অন্যকাজে গভীর মনোযোগ দিতে না পারা। প্রায়ই ভুল করা বা বিস্তৃত বিষয় বুঝতে কষ্ট হওয়া।
কোন কাজে এমনকি খেলাধূলার ক্ষেত্রেও একটানা বেশিক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা। বার বার একটা থেকে আরেকটা কাজ করা।
যখন তাকে উদ্দেশ্য করে কোন কথা বলা হয় তখন তার দিকে তাকালে মনে হয় সে সেসব কথা মনোযোগ দিয়ে কখনও শুনছে না।
অমনোযোগীতার কারণে নির্দেশমত স্কুলের পড়া ও লেখা এবং অন্যান্য কাজ ঠিকমত করতে না পারার কারণে কপ্লেইন করা।
যেসব কাজ করতে চিন্তাভাবনা ও শৃঙ্খলতা দরকার সেসব কাজ করতে অসুবিধাবোধ করা।
যেসব কাজে দীর্ঘক্ষণ মনোসংযোগ দরকার যেমন পরীক্ষার সময়, দীর্ঘ লেকচার শোনা, এক্সপেরিমেন্ট করা,হোম ওয়ার্ক করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনীহা,অপছন্দ বা ঠিকমত করতে না পারা।
লেখাপড়া কিংবা খেলার জন্য দরকারি জিনিস যেমন বই, খাতা, পেন, পেন্সিল, এডমিট কার্ড, খেলনা ইত্যাদি প্রায়ই হারিয়ে ফেলে।
খুব সহজেই মনোযোগ ভিন্ন দিকে সরে যায়।যেমন পড়ার টেবিলে বসে পড়ছিল, ঠিক ঐ সময় দরজার পাশ দিয়ে কেউ যাচ্ছে সাথে সাথেই তার মনোযোগ সেদিকে চলে যায়।
দৈনন্দিন জীবনে প্রায়ই কথা-বার্তা ভুলে যায়। এবং এর জন্য সে প্রায় ধমক খায়।
Fatema Shahrin