অপ্রস্ফুটিত অনূভুতি,
নিস্তব্ধতা কেটে
রাতের আধারকে ঘেঁষে বস।
চুপ…
জোনাকিরা ঘুম ঘুম ঘোরে
মৃদু আলো জ্বালিয়ে বলে
“ঘুমোও ত ভাই ”
এখনও প্রভাত ফোটেনি!!!
কামিনী গাছের মগডালের
পাখিটাও আড়মোড়া দেয়,
ওঠ…
ঝিম ধরে শব্দ খুঁজে মরি,
ঝিঁঝিপোকাদের ঠিক তখনই
বোবা ধরে….
নিস্তব্ধতা আবার,
বিরক্তিকর আলসেমি রাত
আকাশের চাঁদ তারারাও
মেঘেদের কোলে লুকিয়ে পড়ে।
ক্লান্ত পথিক,
পা অবসাদে লুটে,
ঘুম, ঘুম, ঘুম
শক্ত লাঠিতে ঘুণ ধরেছে
কবে কে যানে…
নিজের সাথে নিজের যুদ্ধ
কতকাল আর…
সুখ, অনুভূতি, ভুল শব্দরা
সেই ছাতা পরা ডায়েরির শেষ
পাতায়।
আজ
মায়াময় পৃথিবী
মৃদু ভালবাসা নেই বলে প্রতিধ্বনি তুলে…
কেন?
রাত,
নদীর সন্ধি
পথিক বসে রয়
ঠিক মাঝ দরিয়াতে এখনও…
কেন?
হঠাৎ একদিন খেয়াল হল,
লেখকের দেহে প্রাণ নেই,
কই যেন যায়…
জেগে ওঠে মন
এখনই নামবে জোয়ার
আর সে যাচ্ছে ত যাচ্ছে
হারিয়ে যাচ্ছে ….
পানির অতল থেকে অতলে
না ফেরার দেশে
কেন?
হয়ত কলমের কালি শেষ।।
অজান্তেই অট্টহাসিতে
ডুকরে ওঠে পানির ঢেউ আর বাতাসের
শো শো শো….
হুতুমপেঁচাটা ঐ দূরে ডাকছে
কেন?
বড় বিমর্ষতা করে….
কাঁপিয়ে তোল পৃথিবীকে।
অসমাপ্ত গল্পরা কেন?
মাঝ পথে থমকে দাড়ায়।