banner

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 881 বার পঠিত

সমকামিতা বর্তমান সমাজের বড় ফ্যাশন

ছোটবেলায় সন্ধি বিচ্ছেদে পড়েছিলাম দম্পতি = জায়া + পতি। ‘জায়া’ মানে স্ত্রী আর ‘পতি’ মানে স্বামী। তাহলে দুইটা ছেলে “বিয়ে” করলে তাদেরকে কি পতি পতি বলা উচিত? আর দুইটা মেয়ে করলে জায়া জায়া?
এ কেমন বিচার?

বর্তমানে অনেক মহল এসব হালকা কথায় হয়ত বড়ই বিরক্ত হয়ে উঠবেন।

বিয়ে বন্ধন বিয়ে বন্ধন

আপাতত ব্রিটেনে হয়ে যাওয়ায় প্রথম “মুসলিম গে বিয়ে” নিয়ে যার পর নাই সমকামিরা অনেকেই উচ্ছ্বাসিত। কোন আসল বিয়েতে কাচ্চি বিরিয়ানি খেলেও বোধ হয় তারা এতটা আনন্দ অনুভব করতেন না। আফটার অল, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে যদি নিজেদের সম্মতিতে একসাথে যৌনকর্ম করার লাইসেন্স চায় তো করুক না। ওদের তো অধিকার দেয়াই উচিত। আপনার আমার ক্ষতি কী তাতে!

ভাবুন তো একবার, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ভাই-বোন,
বাবা-মেয়ে বা মা-ছেলে যদি নিজেদের সম্মতিতে এ রকম যৌনকর্ম করার লাইসেন্স চায় তো তাদেরও তো করতে দেয়া উচিত? তাই নয় কি?
নাকি তাদেরকে করতে দিবেন না, আপনার এসব ভেবে বমি আসতেছে? আপনার বমি আসলে কি ঘটনাগুল থেমে থাকবে?
তাদের “অধিকার” তখন কিভাবে অর্জিত হবে?
‘মুসলিম গে বিয়ে’ কথাটায় মুসলিম শব্দটা শুনছেন?

তার মানে গে সাপোর্টাররা যদি হিপোক্রিট না হয়। অবশ্যই হিপোক্রিট। তাহলে তারা ভাই-বোন, বাবা-মেয়ে বা মা-ছেলের মধ্যে যৌনকর্ম সমর্থন করবে না আগামীকাল তার কি নিশ্চয়তা আছে?

এসব কি “আধুনিকতা” কই রাখবেন এই সমাজকে?

অনেক বুদ্ধিমান প্রগতিশীল আবার দাবি করে গে/লেসবিয়ান হওয়া নাকি “প্রাকৃতিক”, এতে কারো কোন হাত নেই সবই জেনেটিক অর্থাৎ জন্মগত।

চলুন দেখি বিজ্ঞান কী বলে?

কোন কিছু জেনেটিক কারণে হয় না পরিবেশগত কারণে হয় তা নির্নয় করার জন্য বিজ্ঞানের সবচেয়ে কার্যকরী মেথড হলো “মনোজাইগোটিক” যমজদের নিয়ে গবেষণা। কারণ তারা একই ভ্রূণ থেকে জন্ম হয় বলে তাদের জেনেটিক কোড একদম বা প্রায়একই রকম।

তো সমকামিতা হওয়া যদি জেনেটিকই হয়, তাহলে তো একজোড়া যমজের মধ্যে যদি একজন সমকামী হয় তাহলে তো আরেকজনও সমকামী হবে। আর একজন সমকামী না হলে আরেকজনও হবে না। যেহেতু দুজনের জেনেটিক কোড একদম একই, তাই ত?

১০০% ক্ষেত্রে না হলেও তার মধ্য থেকে ৮০-৯০% ক্ষেত্রে তো এমন হওয়ার কথা?

Can you guess what was the real percentage that researchers have found?

আমেরিকার বিখ্যাত Columbia University-এর গবেষক, Peter Bearman এবং Yale University-এর গবেষক, Hannah Brückner আবিষ্কার করলেন ছেলে যমজদের ক্ষেত্রে এই রেট মাত্র ৭% আর মেয়ে যমজদের ক্ষেত্রে মাত্র ৫%! (American Journal of Sociology. Volume 107 (5): Page 1179–1205)। তাহলে এটা কি জেনেটিক্স কারণে। নিজেকে প্রশ্ন করুন?

তাহলে ৮০-৯০% হওয়ার কথা ছিল। আর সেখানে ৫-৭% দেখা যাচ্ছে! তার মানে বোঝা গেল, “সমকামিতা প্রাকৃতিক” এই দাবি পুরাটায় অযৌক্তিক।

এটা একটা সমস্যা।
সবচেয়ে বড় কথা মানসিক সমস্যা।
সমস্যাকে সমাধানের প্রথম ধাপ হলো সমস্যাকে সমস্যা বলে স্বীকার করে নেয়া। সমস্যাকে অস্বীকার করে কখনোই তা সমাধান করা সম্ভব নয়।

অবশ্য অনেকেই মানতে চাইবেন না সমকামিতা কোন “মানসিক সমস্যা”। যেহেতু বর্তমানে তা উঠানো হয়েছে।

Homosexuality Mental Disorder Homosexuality Mental Disorder

সমকামী এবং তাদের সাপোর্টকারী গোষ্ঠী মানতে চাইবেন, কি চাইবেন না কিন্তু American Psychological Association(APA) ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত সমকামিতাকে “Mental Disorder” হিসেবে গণ্য করে এসেছে।
তাহলে ১৯৭৪ সালের দিকে এমন কী হলো? না কোন বৈজ্ঞানিক কারণে নয়। এটায় তারা বুঝেই Disorder রেখেছিল।

সমকামীদের আন্দোলন সমকামীদের আন্দোলন

১৯৭০ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার সানফ্রান্সিস্কোতে চলছিল APA এর অধিবেশন। গে সাপোর্টাররা সেই অধিবেশনে ঢুকে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে এবং সাইকিয়াট্রিস্টদের বিদ্রূপ-উপহাস করতে শুরু করে। তাদের নেতা Frank Kameny যে একজন সাইকিয়াট্রিস্ট না হয়েও সাইকিয়াট্রিস্টদের অধিবেশনে ঢুকে মাইক ছিনিয়ে নেন।

তার মত ছিল,
“সাইকিয়াট্রি হলো আমাদের মূর্তিকার শত্রু। সাইকিয়াট্রি আমাদের উপর নিষ্ঠুর যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা সাইকিয়াট্রির উপর যুদ্ধ ঘোষণা করছি।” ( Homosexuality and American Psychiatry: The Politics of Diagnosis (1981) by Ronald Bayer; Princeton University Press; page 105)

পরবর্তীতে তীব্র রাজনৈতিক চাপের মুখে APA সমকামিতাকে Mental Disorder হিসেব থেকে বাদ দিতে বাধ্য হয়, তার স্বপক্ষে যথেষ্ট scientific evidence না থাকা সত্ত্বেও।

মানুষের মানসিক সমস্যা বা মনঃ বিকৃতি থাকতে পারে। তার মানে এই না যে সেই বিকৃতিকে আমরা হ্যা বলে দিব, আরো উৎসাহ দিতে থাকাটা স্বাভাবিক নয়। সেই বিকৃতি কিভাবে আরোগ্য করা যায় তার পথ খুঁজতে হবে। আর যদি আরোগ্য সম্ভব না হয় তাহলে ভবিষ্যতে কারো জানি এমন না হয় বা তার থেকে অন্য কারও যাতে না ছড়ায় সেই ব্যবস্থা নেয়া দরকার। আর সেখানে যদি উল্টা একে সমর্থন করা হয়, এবং স্বীকৃতি দেয়া হয়, তাহলে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে?
পারিবারিক বন্ধন হুমকির সম্মুখীন হবে। আর সমাজে তা ছড়িয়ে পরবে।

৭০ এর দশক থেকে যদি সমকামিতাকে ব্যাধি হিসেবে অস্বীকার করা শুরু না হতো তাহলে গত ৫০ বছরের বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার মধ্যে এর প্রতিকার/প্রতিষেধক আবিস্কার হয়ে যেত। আজ সমকামীরা আরোগ্য লাভ করে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারত। সমাজে সমকামিতার ভয়ানক অধ্যায় দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ফলে দাম্পত্যকলহ আর বিবাহবিচ্ছেদ এর মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। এই সমস্যার ব্যাপারে সচেতনা বৃদ্ধি করা দরকার
সমস্যাকে সমস্যা বলুন
সমস্যাকে সমস্যা বলুন

সচেতনায় সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

Zeesan Rahman Chowdhury
Psychology (DU)
Master of Business Information System
University of Canterbury

Facebook Comments