banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 1606 বার পঠিত

 

শিশুর সুস্থভাবে বিকাশে আপনার সচেতনতা

নতুন একটা মানব শিশুর সাথে সাথে জন্ম হয় নতুন বাবা মারও। সুন্দর আর সুস্থ পরিবার গঠন করতে হলে মার ভূমিকা যেমন গুরুত্বপূর্ণ বাবার ভূমিকাও। সুতরাং সন্তানদের লালন পালনের দিকে খেয়াল রাখা উভয়েরই দায়িত্ব। দায়িত্ব ভাগাভাগি করার সুযোগ থাকলে উভয়ের বন্ধনের জন্যে খুব ভাল। আর যেহেতু বাবা উপার্জনের জন্য অধিকাংশ সময় বাইরে থাকেন তবুও যতটুকু কাজে সহযোগিতা করা সম্ভব। সন্তানের দায়িত্ব সবার।

শিশুর জন্মের সাথে জন্ম নেয় নতুন মা বাবা শিশুর জন্মের সাথে জন্ম নেয় নতুন মা বাবা

মা বাবার চিন্তার ধারার পরিবর্তন প্রয়োজন। আপনার শিশুটির সঠিকভাবে লালন-পালন বা বিকাশের জন্য কেবল,দুই ঘন্টা পর পর খাবার,একটি আরামদায়ক বিছানা আর ঘর ভর্তি খেলনা প্রয়োজন নয় বরং এগুল আপনার পোষা প্রাণীর জন্য যথেষ্ট। কারণ তার মানসিক বিকাশ বা আবেগীয় বুদ্ধির প্রয়োজন নেই। কিন্তু আপনার শিশু সন্তানের মানসিক বিকাশ বা আবেগীয় বিকাশের প্রয়োজন আছে,বরং সন্তানের প্রয়োজন অনেক কিছু আরও অনেক বিষয়।

কার্যকরী কিছু পদক্ষেপ কার্যকরী কিছু পদক্ষেপ

♦♦♦ কিছু পদক্ষেপ আমাদের শিশুদের সঠিক বিকাশে ভুমিকা রাখতে পারে,

♣কোলে বসানো:
খেয়াল করুন, আপনার শিশুকে কারো কোলে বসতে দিবেন আর দিবেন না।

♣কাপড় পাল্টানো:
সন্তানের বয়স দু’বছরের বেশী হলেই তার সামনে আর আপনি কাপড়চোপড় পাল্টাবেন না।

♣অন্যের কমেন্ট যাচাই করুন:
প্রাপ্ত বয়স্ক কেউ আপনার শিশুকে উদ্দেশ্য করে বলছে: ‘আমার বৌ’, ‘আমার স্বামী’- এটা অ্যালাউ করবেন না।

♣খেলার ধরণ খেয়াল করুন:
আপনার শিশু যখন বলছে সে খেলতে যাচ্ছে, কোন্ ধরণের খেলা সে খেলছে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন, উঠতি বয়সি বাচ্চাদের মধ্যে অ্যাবিউজিং প্রবণতা পাওয়া যাচ্ছে।

♣স্বাচ্ছন্দ্যবোধ এবং ভক্তদের সম্পর্কে জানুন: স্বাচ্ছন্দবোধ করছে না এমন কারো সাথে কোথাও যেতে আপনার শিশুকে জোরাজুরি করবেন না। পাশাপাশি লক্ষ্য রাখুন, আপনার শিশু বিশেষ কোন প্রাপ্ত বয়স্কের ভক্ত হয়ে উঠেছে কিনা।

♣বাচ্চার পরিবর্তন লক্ষ্য করুন:
দারুণ প্রাণচ্ছল কোন শিশু হঠাৎ নির্জিব হয়ে গেলে, তাকে প্রশ্ন করুণ। তার মনের অবস্থাটা পড়তে চেষ্টা করুণ।

♣যৌনমূল্যবোধ সম্পর্কে সঠিক শিক্ষা:
বয়:সন্ধি পেরোচ্ছে এমন বাচ্চাকে যৌনমূল্যবোধ সম্পর্কে শিক্ষা দিন। আপনি যদি এ কাজ না করেন, তবে সমাজ তাকে ভুল টা শিখিয়ে দেবে।

♣কার্টুন, ছবি আর বই গুলতে কি দেখে:
কোন ছবি, কার্টুন ইত্যাদি বাচ্চাদের জন্য আনলে আগে তা নিজে দেখুন। কোন বই সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই তা কোমলমতি সন্তানের হাতে দিন।

♣বাচ্চাদের দিকে নজর দিন:
আপনি নিশ্চিত হন যে আপনি প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অপশন অ্যাক্টিভেট করে রেখেছেন কেবল নেটওয়ার্কে, বিশেষ করে সেই সমস্ত নেটওয়ার্কে যেখানে আপনার শিশু প্রায়শই ভিজিট করে।

♣বাচ্চাদের প্রযোজনীয় বিষয় শেখান:
তিন বছর বয়স হয়েছে এমন সন্তানকে তাদের ব্যক্তিগত গোপন স্থানসমূহ কিভাবে পরিস্কারপরিচ্ছন্ন রাখতে হয় তা শেখান। সতর্ক করে দিন যেন সেসব এলাকা কেউ স্পর্শ করতে না পারে- নিষিদ্ধদের মধ্যে আপনিও আছেন (মনে রাখবেন চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম এ্যান্ড উইথ ইউ)।

♣নিরবে তালিকাভুক্ত করুন:
কালো তালিকাভুক্ত করুণ সেই সব বই, গান, মুভি, পরিবার বা ব্যক্তিকে- আপনি মনে করেন যে বা যা আপনার শিশুর মনের সৌন্দর্য নষ্ট করতে পারে।

♣নিজের সন্মান বুঝান:
আপনার শিশুকে ভিড়ের বাইরে গিয়ে দাড়ানোর মূল্যবোধ শেখান।

♣অভিযোগ আমলে নিন:
আপনার শিশু যদি কারো সম্পর্কে অভিযোগ করে তবে দয়া করে বিষয়টি নিয়ে মুখ বুজে থাকবেন না।

মনে রাখবেন, আপনি হয়ত বাবা মা হয়েছেন দু’দিন আগে,বুঝে উঠতে সময় নিচ্ছেন। কিন্তু খেয়াল রাখবেন, যে কোন ব্যথাই কিন্তু সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়.।
আপনার সচেতনতা আপনার পরিবারের নিরাপত্তা।

চল এগিয়ে যাই সামনে চল এগিয়ে যাই সামনে

Facebook Comments