banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 365 বার পঠিত

 

সফল হতে চাইলে এ ব্যাপারগুলো এড়িয়ে চলুন…

সফল হতে চাইলে সবাইকে খুশি রেখে চলতে পারবেন না আপনি। যতো বেশি আপনি কাউকে পাত্তা দিবেন, ততো কম আপনি পাত্তা পাবেন। এসব মানুষকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন এবং নিজের লক্ষ্য ও স্বপ্নের দিকে মনোযোগ দিন। বিষাক্ত মানুষ থেকে দূরে থাকুন। অনেক দেরি কিংবা অনেক দ্রুত বলতে কিছু নেই। আপনার ইচ্ছাশক্তি অনুযায়ী কাজ করুন। কিন্তু দরকারী ব্যাপার থেকে কিভাবে অদরকারী ব্যাপার আলাদা করবেন? আমরা একটি তালিকা তৈরি করেছি যেন আপনি সহজেই সাফল্যের রাস্তা খুঁজে পেতে পারেন। আজ আমাদের প্রতিবেদনের মূল বক্তব্য হলো-  সফল হওয়ার জন্য কোন ব্যাপারগুলো এড়িয়ে চলবেন। চলুন জেনে আসা যাক-

অন্য মানুষের বিচার

এক সময় পুরো পৃথিবী নীরব হয়ে যাবে, তখন শুধুমাত্র আপনি নিজের বিবেককে শুনতে পাবেন। সেটিই আপনাকে জানান দিবে যে আদতে আপনার কী করা উচিত। সমস্যা হচ্ছে, আমরা প্রায়শই অন্য মানুষের মতামতকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে বসি যার দরুণ নিজের ইচ্ছা ও পছন্দের কথাই ভুলে যাই। তবে সফল হতে হলে এ অভ্যাস বদলাতে হবে। আপনার সফলতার জন্য আপনার কী দরকার, তা আপনি ছাড়া অন্য কেউ বুঝবেনা কখনোই।

অতীতের পুরনো স্মৃতিচারণ

অতীতে কি হয়েছে না হয়েছে তা হাজার চেষ্টা করলেও আপনি বদলাতে পারবেন না। তার দরকারও নেই। আপনি বরং নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে যান। যে দিন চলে গিয়েছে তার কথা ভেবে সময় নষ্ট করার কোন মানেই হয় না।

কঠোর পরিশ্রমের পেছনের বেদনা

পৃথিবীতে দুই ধরনের বেদনা আছে। একটি হলো, যেটি আপনাকে কষ্ট দেয় এবং অপরটি হলো যেটি আপনাকে শিক্ষা দেয়। জীবনে যা যা কষ্ট আপনি পাছেন, সবগুলো থেকেই যদি শিক্ষা গ্রহণ করেন তবে আপনিই জয়ী হবেন। কোন কিছু অর্জন করতে হলে আপনাকে কষ্ট সহ্য করতে হবে, এটিই স্বাভাবিক। মনে রাখবেন, দিন শেষে কাজই কথা বলবে। সুতরাং, আপনি আপনার মতন কাজ করে যান।

হ্যাঁ এবং না বলা

আপনার নিজেরই এটা ঠিক করতে হবে যে কখন আপনি হ্যাঁ বলবেন এবং কখন না বলবেন। একেবারেই খুব বেশি চেষ্টা করার প্রয়োজন নেই, তাহলে আপনি বিভ্রান্ত হয়ে যাবেন। নিজের লক্ষ্যের দিকে মনোযোগ দিন। মানুষকে সন্তুষ্ট করতে করতে নিজেকে ভুলে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। এতে আপনার কোন লাভ হবে না।

অধৈর্যশীল চিন্তা

কঠোর পরিশ্রম করার সময় ধৈর্য ধারণ করা শিখুন। যতদূরই আপনি যান না কেন ধৈর্যকে আপনার সাথে রাখুন। অধৈর্যশীল চিন্তা আপনার সাফল্যের শিখরে পৌছতে বাধা সৃষ্টি করে। মাঝে মাঝে হয়তো ফল না পেয়ে কিংবা দেরিতে পেয়ে আপনি কষ্ট পাবেন কিন্তু হাল ছেড়ে দিলে চলবে না।

অনিয়ন্ত্রিত বিষয়সমূহ

কখনো কোন কাজ জোর করে করাতে চাইবেন না বরং সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে শিখুন।  যা হবার তা হবেই। সমস্যাগুলোর কথা না ভেবে সমাধানের কথা চিন্তা করুন। প্রত্যেকটি পরিবর্তনের পেছনেই উদ্দেশ্য থাকে। প্রথম প্রথম হয়তো আপনার খুব কষ্ট হবে কিন্তু ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে।

প্রতিদিনের ছোটখাটো ব্যর্থতা

খারাপ দিন আসেই মানুষের জীবনে। কিন্তু সেটি কখনো থেমে থাকে না। মনে রাখবেন, আপনার ভুল থেকেই অনেক কিছু শেখার আছে। সুতরাং কোন ভুল কিংবা ব্যর্থতাকে সীমাবদ্ধতা না ভেবে আশীর্বাদ মনে করুন।

বিউটি স্ট্যান্ডার্ড

আপাতদৃষ্টিতে যেসব বিষয় আপনি সৌন্দর্য হিসেবে ধরে এসেছিলেন, সেগুলো বদলানোর সময় এসেছে এবার। ধবধবে সাদার দৃষ্টিকোণ থেকে এবার বের হয়ে বাদামী সৌন্দর্যকে আপন করে নিন।

ভয়-ভীতি

জীবন মানেই ঝুঁকি। আপনি যদি ঝুঁকি না নেন তবে কখনোই সামনে এগোতে পারবেন না। ভয়গুলোর সাথে মোকাবেলা করুন। থেমে থাকলে চলবে না।মনে রাখবেন, জীবন তার আপন গতিতেই এগিয়ে চলে।

মানসিক শঙ্কা

কষ্টের দিনগুলোতেও নিজের উপর ভরসা রাখুন। ভুল মানুষই করে। কেউ না জেনে ভুল করে, আবার কেউ কাউকে কষ্ট দেওয়ার জন্য ভুল করে। বিশ্বাস রাখুন, জীবন একদিন আপনাকে উপহার দিবেই। এই ভরসাই আপনাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।

Facebook Comments