আল্লাহ তাআলার আনুগত্য স্বীকার করে শয়তানের পদাংক অনুসরণ না করাই হলো মানুষের একমাত্র কাজ। কারণ শয়তান মানুষকে অন্যায় ও পাপ কাজের দিকে ধাবিত করে। আল্লাহ তাআলার ওপর মিথ্যা অপবাদ দেয়ার জন্য প্ররোচিত করে। কারণ শয়তান ও তার দলের ইচ্ছা হলো যে, দুনিয়ার সব মুসলমান জাহান্নামে যায়।
এ কারণেই আল্লাহ তাআলা ঈমানদারদেরকে পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশের কথা বলেছেন। ইসলামের বিধান লঙ্ঘন করা মরাত্মক অপরাধ। অনন্তর যারা ইসলামের এ বিধান নাজিলের পরও সত্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকবে, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে প্রতিদান দেয়ার ক্ষেত্রে প্রবল পরাক্রান্ত। এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা পরবর্তী আয়াতে ইরশাদ করেন-
আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণ
সুরা বাকারার ২০৯ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুমিনদেরকে ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করার পরও যারা ইসলামের বিধান পালনে এগিয়ে আসেনি তাদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যে, আল্লাহ তাআলা বিচার দিবসে তাদেরকে প্রতিদান দিতে হবেন মহাপরাক্রমশালী।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলিম উম্মাহর জন্য যে শরিয়ত বা জীবন-বিধান নিয়ে এসেছেন তা যেমন সম্পূর্ণ, তেমনি যুক্তিপূর্ণ, সুস্পষ্ট, বাস্তবের পরীক্ষায় বার বার পরীক্ষিত।
তারপরও যারা এ সব বিধানের অমান্য করবে, এমনকি ঈমান আনার পরও অন্য মতবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয় তবে তার পরিনাশ হবে শোচনীয় শাস্তি। যা বান্দার জন্য প্রতিদান দিবসে অবধারিত। কেননা আল্লাহ তাআলা মহাপরাক্রমশালী ও সর্বশক্তিমান।
তাঁর শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়ার সাধ্য কারো নেই। এমনকি কখন কাকে কিভাবে শাস্তি প্রদান করবেন তাও তিনি জানেন। কারণ তিনি মহাজ্ঞানী। তাই কারো প্রতি শাস্তি প্রদানে তিনি তাড়াহুড়ো করবেন না। আবার কারো প্রতি তিনি অবিচারও করবেন না।
পড়ুন- সুরা বাকারার ২০৮ নং আয়াত
পরিষেশে…
ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশের পর পুনরায় কেউ যেন ইসলাম থেকে বের হয়ে না যায়। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর নাজিলকৃত কুরআনের সুস্পষ্ট ও স্বচ্ছ বিধান বাস্তবায়ন করা প্রত্যেক ঈমানদারের ঈমানি দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের সুস্পষ্ট বিধান পালন করে পরিপূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ করে আল্লাহ তাআলা নৈকট্য লাভ করার তাওফিক দান করুন। তাঁর অবাধ্যতা থেকে হিফাজত থাকুন। আমিন।