২০১১ সালে অনাভিলা মিশরা লিলেন শাড়ি নিয়ে কাজ শুরু করেন। কিন্তু বর্তমানে তার মতো শাড়ির ডিজাইনাররা শাড়ির আধুনিকীকরণ নিয়ে যে আরও বেশি কাজ করছেন তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আলাইজির এবং অনুভা জাইনের ডেনিম শাড়ি, শিভান অ্যান্ড নরেনের বিকিনি শাড়িসহ আরও আছে শাড়ির সাথে অবি বেল্ট, বুটস, জিন্স এবং বক্সি ব্লাউজার। এছাড়াও আছে শাড়ি গাউন এবং সেলাই করা শাড়ি। শাড়ির এমন অবস্থা দেখে মনে হয় একে নিয়ে পুনরায় বিবেচনা করা দরকার। এমনকি ডিজাইনাররাও এখন শাড়ির দৈর্ঘ্য ছয় গজ করে তৈরি করছেন।
সেলিব্রেটি ফ্যাশন ব্লগার প্রিয়াঙ্কা প্রসাদ ও পায়েল পরিজা ভারতে রেড কার্পেট সংস্কৃতির চর্চা শুরু করেন। এখানে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড কিংবা ভারতীয় পোশাকই থাকুক না কেন, এর সাথে চলে আসে পশ্চিমা ভাবমূর্তি। ফলাফল হল শাড়ি যেন এখন আর রেড কার্পেট আইটেম হিসেবে থাকছে না। প্রসাদ বলেন, ‘এতে শাড়ি অতটা অবস্থান হারাচ্ছে না। এখানে ডিজাইনগুলো আরও স্পস্ট এবং বিশ্বজুড়ে উপস্থাপন করার মতো হতে হবে।’
ফ্যাশন সম্পাদক সুজতা অশ্বমূল বলেন, ‘বেশির ভাগ তরুণ নারীদের শাড়ি জিনিসটা সুবিধামতো বুঝিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু শিগগিরিই তারা বুঝতে পারে যে এর মতো আসলে কিছু নেই। শাড়ির অন্যান্য ফ্যাশন আইডিয়াগুলো আসলে কোন না কোন ভাবে ঐতিহ্যগত শাড়িকেই টিকিয়ে রাখার ভূমিকা পালন করছে।’
অন্যদিকে ডিজাইনার অনামিকা খাননা বলেন, ‘ঐতিহ্যগত শাড়িকে যুবতী নারীরা একটু অভিনব কায়দায় পরছে। এর মানে এই না যে শাড়ি এখন আর কেউ পছন্দ করে না, এটাকে শুধু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। কিন্তু ডিজাইনাররা এখন তাঁত ও সমাসাময়িক ফ্যাশনের মধ্যে পার্থক্য কমিয়ে আনতে চেষ্টা করছে।’