banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 262 বার পঠিত

 

‘হাতে হেঁটে’ ফার্স্ট ক্লাস

নিজের যোগ্যতায় চাকরি খুঁজতে থাকেন। তাঁর ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনের কষ্ট, পাওয়া না-পাওয়ার হতাশা নিয়ে টিভি অনুষ্ঠান করার। টিভি চ্যানেলের মতো একটা জায়গায় প্রোগ্রাম করার সুযোগ পাওয়াটা খুব একটা সহজসাধ্য ব্যাপার ছিল না। তবে চেষ্টা করে একসময় সাড়া পান মাহবুবা।

স্নাতক শেষ করে ঢাকায় এসে ভর্তি হন ইডেন মহিলা কলেজে। স্নাতকে ৬ নম্বরের জন্য প্রথম শ্রেণি হাতছাড়া হলেও স্নাতকোত্তরে তা আর মিস হয়নি।

মাহবুবা হক সম্পর্কে তাঁর শিক্ষক ও মাদার বখশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের মনোবিজ্ঞানের প্রভাষক আখতার বানু বলেন, ‘শারীরিকভাবে সমস্যার মধ্যে থাকলেও অন্য অনেক শিক্ষার্থীর চেয়ে কর্মঠ ছিল। সব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেই তার ছিল সরব উপস্থিতি।’

স্নাতক পড়ার সময় প্রথম বর্ষের কয়েক মাস তাঁকে সিঁড়ি বেয়ে পাঁচতলায় ক্লাস করতে হতো। এ জন্য নিয়মিত তিনি ক্লাস করতে পারতেন না। আখতার বানু বলেন, ‘আমরা অধ্যক্ষের সঙ্গে ওর কষ্টের বিষয়টি নিয়ে কথা বলি। তারপরই সিদ্ধান্ত হয় ওর সব ক্লাস দ্বিতীয় তলায় ২১০ নম্বর কক্ষে নেওয়ার ব্যাপারে।’

স্নাতকোত্তর পরীক্ষার সময় মাহবুবার পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল ঢাকা শেখ বোরহান উদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজ। পরীক্ষা দিতে হয়েছে চারতলার কক্ষে। সিঁড়ি বেয়ে ওঠা ছিল তাঁর জন্য কষ্টকর। মাহবুবা বললেন, ‘প্রতিটি ভবনে প্রতিবন্ধী মানুষের কথা ভেবে লিফট থাকা উচিত। আলাদা শৌচাগারও থাকা দরকার।’

এখন আপনার লক্ষ্য কী? মাহবুবা হক বলেন, ‘ভালো একটি সরকারি চাকরির, যেন চাকরির পাশাপাশি প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করতে পারি।’

Facebook Comments