অপরাজিতাবিডি ডটকম: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নেত্রীরা দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে দলের মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যেই ৭ নেত্রী দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। রোববার বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেবেন। প্রার্থীরা সাক্ষাৎকারের আগেই ঢাকায় অবস্থান করে দলের পার্লামেন্টারি বোর্ডের সদস্যসহ শীর্ষ নেতাদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন।
যারা দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য জোবেদা খাতুন পারুল, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় প্রতিপক্ষের হাতে নিহত প্রয়াত এ কে এম ইকবাল আজাদের পত্নী উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ), জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা সভানেত্রী মিনারা আলম, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রেহেনা বেগম রানী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবীরের পত্নী নায়ার কবির, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বাশার ও সরাইল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা পারভীন সংরক্ষিত আসনে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ) দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
পরে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সিট ভাগাভাগির কারণে এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিলে শিউলী আজাদ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা সভানেত্রী মিনারা আলম দলের একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেত্রী। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি মাঠে থাকেন। নায়ার কবির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ) জানান, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে তিনি দলের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। পরে দলীয় সিদ্ধান্ত ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছিলেন। তিনি আশা করেন দল তাকে মূল্যায়ন করবে।
–প্রতিবেদক,অপরাজিতাবিডি ডটকম