হঠাৎ করে চাকরি চলে যাওয়ার অনুভূতি কেবল তারপক্ষেই বোঝা সম্ভব যার কিনা চাকরিটা চলে গিয়েছে। রাগ, কষ্ট, ক্ষোভ, হতাশা, দ্বিধা- সবকিছু একসাথে কাজ করতে থাকে যেন মনের ভেতরে সেসময়। বিশেষ করে চাকরিটা যদি কোন পূর্বাভাস ছাড়াই হুট করে চলে যায় তাহলে তো সেই অনুভূতিটা ঠিক ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যত- সবকিছু একসাথে কেমন যেন তালগোল পাকিয়ে যায় এই সময়টিতে। বর্তমানকে তুচ্ছ মনে হয়, অতীতকে যন্ত্রণার আর ভবিষ্যতকে মনে হয় ভয়ের। কিন্তু এই অবস্থায় কি ঘরে বসে থাকাটা কোন কাজের কথা? একদম না! চাকরি চলে গিয়েছে তো কী হয়েছে? হাত পা ঝাড়া দিয়ে উঠে বসুন আর করে ফেলুন চটজলদি এই কাজগুলো।
১. রেফারেন্সের সাথে কথা বলুন
আপনার চাকরি চলে গিয়েছে, তারমানে এই নয় যে আর কোন চাকরি আপনাকে করতে হবেনা। নতুন কোথাও আবার আপনাকে শুরু করতে হবেই। তাই সেখানে রেফারেন্স হিসেবে প্রাক্তন অফিসের বসকে ব্যবহার করুন আর সেজন্য কথা বলুন বসের সাথে। যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে সেখানে আপনাকে ভালো জানে এমন কারো সাথে যোগাযোগ করুন। মূলত, সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কথাটি হচ্ছে এই যে, রেফারেন্সের সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করুন আপনার পরবর্তী চাকরির জন্যে।
২. কারিকুলাম ভিটা ঠিকঠাক করুন
কয়েক বছর আগে লেখা কারিকুলাম ভিটাকে চাকরি পাওয়ার পর আর নতুন করে ঠিকঠাক করা হয়নি? সময় বা সুযোগ পাননি? এখনই সময় সেটাকে নতুন তথ্যগুলো দিয়ে ভরিয়ে ফেলার। কারণ চাকরি চলে যাওয়ার পর আপনার হাতে যেমন অঢেল সময় আছে, তেমনি রয়েছে পরের চাকরিতে আবেদন করার জন্যে কারিকুলাম ভিটার প্রয়োজনীয়তা। তাই এই ফাঁকে নিজের কারিকুলাম ভিটা ঠিক করে ফেলুন।
৩. সামাজিক যোগাযোগ বাড়ান
মেইল, লিঙ্কড ইন, ফেসবুক, টুইটারসহ সব সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ুন। বর্তমানে চাকরির বিষয়গুলো এসসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই সবচাইতে বেশি প্রকাশিত হয়। তাই প্রতিদিন খানিকটা সময় এগুলোর পেছনে ব্যয় করুন। যাদের কোম্পানিতে চাকরি করতে চান তাদের সাথে নিজের কথাগুলো বলুন আর সম্পর্ক তৈরি করতে শুরু করুন। কেবল তারা কী করছে সেটা জানতে নয়, অন্তত আপনি কী করছেন সেটা তাদেরকে জানাতে হলেও এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
৪. নিজের টাকা-পয়সার হিসেব নিন
মোট কত টাকা আছে আপনার? চাকরি যাওয়ার পরপর সেগুলো হিসেবে আনুন। মোট কত টাকা আর কী কী সম্পত্তি আছে আপনার আর সেগুলো দিয়ে মোট কতদিন চলতে পারবেন আপনি সেটা দেখুন। এতে করে পরের চাকরিটার জন্যে আপনার তাড়াহুড়োটা কতটা হবে, কেমন চাকরি আপনি চাইবেন সেগুলো বোঝাটা সহজ হয়ে দাঁড়াবে।
লিখেছেন-
সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি