গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে আলোচিত বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জিয়া খান হত্যা মামলাটি। অভিযোগ ছিল তাকে খুন করা হয়েছে। সন্দেহের তীর ছিল বলিউডের ‘হিরো’ খ্যাত অভিনেতা ও জিয়ার প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলির দিকে। কিন্তু সমস্ত তদন্ত শেষে সিবিআই জানিয়েছে, জিয়াকে খুন নয়, তিনি আত্মহত্যাই করেছেন।
১ আগস্ট সোমবার মুম্বাই হাইকোর্টে জিয়া খান মৃত্যু মামলার তদন্ত রিপোর্ট উপস্থাপন করে সিবিআই। আর সেখানেই তাদের নিরপেক্ষ তদন্তটি নিয়ে কথা বলে মামলার তদন্তকারী। তারা জিয়া খানের মৃত্যুর মামলাটি তদন্ত করে জিয়া আত্মহত্যাই করেছেন বলে নিশ্চিত হয়েছেন।
অভিনেত্রী জিয়া খানকে ২০১৩ সালের ৩০ জুন তার ঘরেই ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। সাধারণভাবে বিষয়টি আত্মহত্যা মনে হলেও জিয়ার মা রাবেয়া খান এই মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি। তার দাবী ছিল, জিয়া কোনোভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
সিবিআইকে দেয়া তথ্যে জিয়ার মা সন্দেহ করে বলেছিলেন, জিয়া আত্মহত্যা করার মত মেয়ে না। তাকে কেউ হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। হয়তো তার ফ্ল্যাটের জানলা দিয়ে কেউ ঢুকে হত্যা করে গলায় ওড়না বেঁধে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।
কিন্তু এমন অভিযোগ তদন্ত করে নাকচ করে দিয়েছে সিবিআই। রাবেয়ার সন্দেহ উড়িয়ে দিয়ে সিবিআই থেকে বলা হয়, জিয়াকে হত্যা করে ভেতর থেকে দরোজা লাগিয়ে জানালা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার মতো কোনো লক্ষণ তারা দেখতে পাননি। রাবিয়ার সন্দেহ অমূলক। আসলে জিয়া নিজের ওড়না দিয়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
তবে জিয়া হত্যা মামলায় এখনই কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি আদালত। এমনকি অভিযুক্ত প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলিকেও জিঞ্জাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে সিবিআই। আর জিয়া হত্যা মামলার বিষয়টি আসছে ২৩ আগস্ট শেষ হতে পারে বলেও জানিয়েছে আদালত। কারণ এদিনই রায়ের দিন ঠিক করা হয়েছে।