আমি ঈদের আগে ভারতের কলকাতা আর মুম্বাইয়ে ছিলাম। ঈদের দিন দুপুরে ঢাকায় ফিরেছি। শুরুতে ভেবেছিলাম কলকাতায় ছবিটি দেখব, কিন্তু ব্যস্ততার কারণে সময় বের করতে পারিনি। ঢাকায় এসে ঈদের আট দিনের মাথায় যমুনা ব্লকবাস্টারে বোনের সঙ্গে চুপিসারে ছবিটি দেখেছি। দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখে মন ভরে গেছে। আমার আর জিতের ‘বাদশা’ ছবিটির সঙ্গে কলকাতায় দেবের ‘কেলোর কীর্তি’ মুক্তি পেয়েছে। যে খবর আমার কাছে এসেছে, তাতে কলকাতায় ‘বাদশা’ বাজিমাত করেছে। সুপার-ডুপার হিট। আমি তো আসমানে উড়ছি। সবাই এও বলেছেন, তাঁরা একটা পরিপূর্ণ সিনেমা দেখেছেন। বাংলাদেশে অবশ্য ‘শিকারি’ ছবিটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহটা বেশি দেখা গেছে। এই ছবিতে শাকিব খানের লুক ছিল একেবারেই অন্য রকম। এমনিতে তিনি এ দেশের জনপ্রিয় হিরো। হিরোর কারণে সবাই হলে ছুটেছেন।
আপনার বোন ছবিটি দেখে কী বলেছেন?
সে তো শুধু আমার ভুল ধরে। কেন সংলাপটা এভাবে বললাম, কেন পোশাকটা এভাবে পরলাম—এ ধরনের আরকি। আমিও আমার পরিবারের সবার মতামতকে খুব গুরুত্ব দিই।
এবার ঈদে মুক্তি পাওয়া অন্য ছবিগুলোর নায়িকারা হলেন অপু বিশ্বাস, তিশা ও ভারতের শ্রাবন্তী। তাঁরা কেমন করেছেন?
আমি তো তাঁদের ছবি দেখার সময়টা পাইনি। নিঃসন্দেহে তাঁরা অনেক ভালো করবেন। যাঁদের নাম আপনি বললেন, তাঁদের সবারই অভিনয় ক্যারিয়ার এক দশকের কম হবে না। আর আমার হচ্ছে মাত্র নয় মাস। ভাবছি ‘প্রেমী ও প্রেমী’র শুটিং থেকে ফিরেই বাকি তিনটি সিনেমা দেখে নেব।
‘প্রেমী ও প্রেমী’ সিনেমার পর নতুন কাজ কি শুরু করবেন?
আজ (শনিবার) বিকেলে আমরা বান্দরবান যাচ্ছি। ১২ দিন সেখানে থাকব। যেভাবে কাজ করছি আমরা, তাতে আগামী আগস্টে ‘প্রেমী ও প্রেমী’ সিনেমার পুরো কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপর তিন মাসের ছুটিতে যাচ্ছি।
কেন ছুটিতে যাচ্ছেন?
টানা কাজের কারণে আমার শারীরিক ফিটনেসের পাশাপাশি পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে। মন দিতে চাই পড়াশোনায়। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি বিবিএ সপ্তম সেমিস্টার পর্যন্ত শেষ করেছি।
সাক্ষাৎকার: মনজুর কাদের
মন দিতে চাই পড়াশোনায়
Facebook Comments