কলেজে ভর্তি শুরু হয়ে গেছে। শুরু হতে চলেছে নতুন জীবন। সেই নিয়ে উত্তেজনা প্রচুর, তাই না! ফ্রেশার্স পার্টিতে কোন শাড়ি পরলে ভালো মানাবে, এই নিয়ে বুঝি বন্ধুরা মিলে প্ল্যানিং চলেছে! তাহলে বলি, ট্রাই করতে হবে নতুন কিছু। পুরানো সাজগোজ আজকাল আর চলে না। আর নতুন স্কুল, কলেজে নিজের ইমপ্রেশনটাও তো জমাতে হবে নাকি! কথাতে আছে না, ফার্স্ট ইমপ্রেশন ইজ দা লাস্ট ইমপ্রেশন! তাই কেমন হবে শাড়ি, রইল তারই কিছু স্টাইলিশ টিপস –
রোম্যান্টিক ফ্লোরালস, শিমার অ্যান্ড নেট : ফ্রেশার্স পার্টি জমাতে করতে বেছে নেওয়া যেতে পারে পিওর নেটের হালকা রঙের শাড়ি। তার উপর ফ্লোরাল কারুকার্য দারুণ মানাবে। তার সঙ্গে ম্যাচ করে বেছে নিতে হবে সলিড কালারের ব্লাউজ। হালকা নীল রঙের শাড়ির সঙ্গে গোল্ডেন ব্লাউজ ভালো মানাবে। শাড়ির আঁচল খুলে, কানে একটা বড় দুল পরে নিলেই ব্যাস, বাজিমাত।
হালকা রং এবং শিফন : বিশেষ অনুষ্ঠান থাকলেই যা শাড়ি পরার হিরিক। তাছাড়া শাড়ি আর তেমন একটা পরাই হয় না আজকাল। কিন্তু ওই বিশেষ দিনটি শাড়ি পরতে ইচ্ছে হলে সবচেয়ে ভালো মানাবে শিফনের শাড়ি। পরতেও সুবিধা আবার সামলাতেও পারবেন সহজে। হালকা রঙের শাড়ির সঙ্গে ভালো মানাবে স্লিভলেস ডিপ রঙের কারুকার্য করা ব্লাউজ।
স্যাটিন এবং সুতি : হাইনেক সুতির ব্লাউজের সঙ্গে একটা সুন্দর হালকা রঙের স্যাটিন বা সুতির শাড়ি দারুণ মানাবে। সকলের নজর কাড়বে।
শির ব্লাউজ অ্যান্ড শিফন : সাদামাটা ব্লাউজজের বদলে জমাট কারুকার্য করা শির ব্লাউজ খুব স্টাইলিশ। তার সঙ্গে শিফনের শাড়ি। ব্যাস, সঙ্গে কোনও জুয়েলারি না পরলেও ক্ষতি নেই। দারুণ দেখাবে।
এক রঙা শাড়ি: পরতে কোনও অসুবিধা না থাকলে একরঙা সুতির শাড়িও কিন্তু মন্দ দেখাবে না। তার সঙ্গে ফ্লোরাল হাইনেক ও কোয়ার্টার স্লিভ ব্লাউজ বেছে নিতে হবে আপনাকে। সঙ্গে অবশ্যই গাঢ রঙ এর শাড়ি বাছুন।