নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার বর্তমানে একটি মোবাইল অ্যাপস প্রবর্তন করতে যাচ্ছে।
নির্যাতনের শিকার হতে যাচ্ছে অথবা হয়েছে এরকম নারী ও শিশুদের সহায়তা করবে এই অ্যাপস। আগামী ৮ আগস্ট এই অ্যাপস আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।
মঙ্গলবার (২১ জুন) মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে নারী ও শিশুর উন্নয়নে গৃহীত ও বাস্তবায়িত কার্যক্রমের উপর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি একথা জানান।
তিনি বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে ভিকটিমের জন্য ঘটনা ঘটার সময় প্রয়োজনীয় সাহায্য চাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে অপরাধ প্রমাণ করাও দুঃসাধ্য হয়। এই সকল সমস্যার সমাধানে স্মার্ট ফোনে ব্যবহারযোগ্য ‘জয় : নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে একটি আইসিটি ভিত্তিক টুল’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপস উদ্ভাবন করা হয়েছে।
এই অ্যাপসে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবের ৩টি মোবাইল নম্বর, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার (১০৯২১), নিকটস্থ থানা এবং পুলিশ কন্ট্রোল রুমের নম্বর সংরক্ষণ করা যাবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যদি কোনো নারী সমস্যার মধ্যে পড়ে, তাহলে তিনি মোবাইলে অ্যাপসের আইকনে স্পর্শ করলে এটি সংরক্ষিত নম্বরসমূহে একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা পাঠাবে। হেল্পলাইন সেন্টার এবং পুলিশের নিকট জিপিএস লোকেশনসহ এই বার্তাটি যাবে। ফলে পুলিশ, হেল্পলাইন সেন্টার এবং ভিকটিমের আত্মীয়রা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবেন।’
এই অ্যাপস স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলাপচারিতা সংরক্ষণ করবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর ছবি তুলবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ সকল তথ্য মোবাইলে সংরক্ষিত থাকবে। যদি ব্যবহারকারী অনলাইনে থাকেন তাহলে তথ্যসমূহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টারের সার্ভারে প্রেরিত হবে। এসব তথ্য পরবর্তীতে অপরাধ প্রমাণে সহায়তা করবে। নারীর নিরাপত্তা ও অধিকার সম্পর্কিত তথ্য বাংলা ও ইংরেজিতে এই অ্যাপসে দেয়া থাকবে।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাইলট ভিত্তিতে পথশিশু পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কার্যক্রমের আওতায় কমলাপুর ও কাওরান বাজার উন্মুক্ত পথশিশু স্কুলে শিশুদের জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
পথশিশু পুনর্বাসনের আওতাধীন উন্মুক্ত পথশিশু স্কুল কমলাপুরে এ বছরের জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত মোট ২৪৬ জন শিশু তালিকাভুক্ত হয় এবং কাওরান বাজার এলাকায় মোট ২২১ জন শিশু তালিকাভুক্ত হয়েছে।
ওই শিশুদের জন্য সকাল, দুপুর ও রাতে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে। শিশুদের রাত্রিযাপনের জন্য শেল্টার হোমেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান মেহের আফরোজ চুমকি।