banner

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 1364 বার পঠিত

 

কোন কোন সময়ে নফল নামাজ পড়া মাকরুহ?

দিন রাতে সব মিলিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। এর বাইরে একজন মুসলিম যতো খুশি ব্যক্তিগত নফল নামাজ আদায় করতে পারে। যার কোনো সীমারেখা নির্ধারিত নেই। কিন্তু প্রতি ২৪ ঘণ্টায় কিছু সময় এমন আছে যখন নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। নিচে এ সময়গুলো নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।

দিন রাতে সব মিলিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। এর বাইরে একজন মুসলিম যতো খুশি ব্যক্তিগত নফল নামাজ আদায় করতে পারে। যার কোনো সীমারেখা নির্ধারিত নেই। কিন্তু প্রতি ২৪ ঘণ্টায় কিছু সময় এমন আছে যখন নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। নিচে এ সময়গুলো নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।

১. ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর থেকে ফরজ নামাজের আগ পর্যন্ত ফজরের দুই রাকাত নামাজ ছাড়া অন্য কোনো নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। হযরত হাফসা রা. বলেন, ‘ফজরের ওয়াক্ত শুরু হলে রাসুল (সা.) সংক্ষিপ্ত দুই রাকাত নামাজ ছাড়া আর কোনো নামাজ পড়তেন না।’ তবে এ সময়ে কাযা নামাজ পড়া যাবে।

২. মাগরিবের নামাজের পূর্বক্ষণে। ফিকহে হানাফী এবং ফিকহে মালেকীর মতে মাগরিবের ওয়াক্ত হওয়ার পর ফরজ নামাজের আগে কোনো নফল নামাজ পড়া জায়েয নেই। অবশ্য ফিকহে শাফেয়ী মতে এই সময়ে দুই রাকাত নামাজ পড়া সুন্নতে গাইয়ে মুয়াক্কাদা। আর ফিকহে হাম্বলী মতে এই সময়ে দুই রাকাত নামাজ পড়া জায়েয আছে বটে তবে তা সুন্নাত নয়।

৩. ইমাম খুতবা দেওয়ার জন্য নিজের জায়গা থেকে উঠে দাঁড়ালে। এ সময় কোনো নফল নামাজ পড়া জায়েয নেই। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন ইমাম সাহেব খুতবা দেওয়ার সময় যদি তুমি তোমার পাশের লোককে বল ‘চুপ কর’ তাহলেও তুমি অনর্থক কাজ করলে।’ (সুবুলুস সালাম ২/৫০) ফিকহে শাফেয়ী ও হাম্বলী মতে যদি ইমামের সাথে তাকবীরে উলা ছুটে যাওয়ার সম্ভাবনা না থাকে তাহলে এই সময়ে দুই রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়ার অবকাশ আছে। তবে শুধু নামাজের ওয়াজিবগুলো আদায়ের মাধ্যমে তা সংক্ষিপ্ত সময়ে শেষ করতে হবে।

৪. ঈদের নামাজের আগে ও পরে ঘরে ও ঈদগাহে এবং নামাজের পরে শুধু ঈদগাহে নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। হযরত ইবনে আব্বাস রা. বলেন, ‘রাসুল (সা.) ঈদের দিন দুই রাকাত নামাজ পড়েছেন। তার আগে ও পরে কোনো নামাজ পড়েন নি।’ (সুবুলুস সালাম ২/৬৬)

৫. ফরজ নামাজের ইকামত দেওয়ার সময়। ফিকহে হানাফী মতে এ সময় সব ধরনের নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ফরজ নামাজের ইকামত দেওয়া হলে আর কোনো নামাজ পড়ার সুযোগ নেই।’ তবে ফজরের সুন্নতের ক্ষেত্রে এর একটু ব্যতিক্রম আছে। কারো যদি তাশাহহুদে শরীক হওয়ার মাধ্যমেও জামাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে জামাত শুরু হলেও ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ পড়া যাবে।

৬. যদি ফরজ নামাজের সময় খুবই অল্প থাকে, যখন সুন্নাত পড়তে গেলে যথাসময়ে আর ফরজ পড়া যাবে না তখনও ফরজ ছাড়া ভিন্ন কোনো সুন্নাত নফল পড়া মাকরুহ।

৭. আরাফার দিন জোহর ও আসরের মাঝে ও আসরের পরে এবং মুজদালিফায় মাগরিব ও এশার মাঝে ও এশার পরে নফল নামাজ পড়া মাকরুহ।

ফয়জুল আল আমীন

Facebook Comments