পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ ১০ জয়িতাকে সংবর্ধনা দিয়েছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের আয়োজনে এ সংবধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
অনুষ্ঠানে প্রথম শ্রেষ্ঠ ৫ জয়িতা নির্বাচিত হলেন- অর্থনীতেতে রাজিয়া বেগম, শিক্ষা ও চাকরিতে ড. শাহিদা আক্তার, সফল জননী সেলিনা আমিন, নির্যাতিতা হয়েও নতুন উদ্যোগে জীবন গড়ার পুরস্কৃত হয়েছেন মর্জিনা বেগম, সমাজসেবায় আরিফা ইয়াসমিন ময়ূরী।
এছাড়া দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ৫ জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন- মমতাজ বেগম, প্রফেসর ড. শিরীন বেগম, মনোয়ারা বেগম, আমেনা বেগম ও মাজেদা বেগম।
ঢাকা বিভাগের ১৭টি জেলার মধ্যে থেকে এই শ্রেষ্ঠ ১০ জন জয়িতাকে বাছাই করা হয়েছিল বলে জানান ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমদ।
এর আগে ঢাকা বিভাগের ১৭টি জেলার ৭৩ জন নির্বাচিত সাধারণ জয়িতাকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হয়।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘জয়িতা মানে বিজয়ী। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও যে সব নারী নিজেদের মেধা, শ্রম ও যোগ্যতা দিয়ে নিজেকে এবং দেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তাদের সংবর্ধনা দেয়ার জন্যই আজকের এই অনুষ্ঠান।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে নিতে চাই। এজন্য রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে তাদের ক্ষমতায়নের প্রয়োজন। আজকে যারা পুরস্কৃত হচ্ছে তারা দৃষ্টান্ত। তাদের দেখে অন্যদের এগিয়ে আসতে হবে।’
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাপতি রেবেকা মোমেন বলেন, ‘সরকার থেকে নারীদের সহযোগিতা করা হয়। কিন্তু সাহায্য পেলেই নারীরা ওপরে উঠতে পারে না। তাদের দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয়। আমি আশা করি, আপনারা সবাই সমাজের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন। দৃঢ়তার সাথে আরো সাফল্যমণ্ডিতভাবে এগিয়ে যাবেন।’
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য দেন- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম এনডিসি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহিন আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।