আসন্ন জাতীয় বাজেটে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ বাস্তবায়নকল্পে গৃহীত জাতীয় কর্মপরিকল্পনার ধারাবাহিক বাস্তবায়ন এবং শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিতকরণে বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ।
তিনি বলেন, জাতীয় নারীনীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার সফল বাস্তবায়নে প্রয়োজন নেতৃত্ব ও দক্ষতার সঙ্গে কার্যক্রম সম্পাদন, সমন্বয় ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার।
তিনি আরো বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মোট বাজেটের মাত্র ২৬ দশমিক ৮০ ভাগ নারীদের জন্য বরাদ্দ ছিল। এভাবে বাজেটে উপেক্ষিত থাকলে নারীদের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।
এ সময় তিনি নারী ও কিশোরী নির্যাতন বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে মেয়ে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন থেকে আত্মরক্ষায় সক্ষম করে তুলতে বিদ্যালয়ে ও কমিউনিটিতে দক্ষতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণের জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখাসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইমা হক বিদিশা বলেন, শহরে ও বিদ্যালয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীদের চলাফেরা করতে হিমশিম খেতে হয়। তাই সবক্ষেত্রে মেয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিআইডিএসর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. প্রতিমা পাল মজুমদার বলেন, সঠিক মনিটরিং না থাকার কারণে নারী ও পুরুষের মজুরি সমান হচ্ছে না। কমিউনিটি ক্লিনিকে নারী চিকিৎসক না থাকায় নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আমরা এখনো মাতৃ মৃত্যুহার কমাতে পারছি না। তাই এসব সেবা বৃদ্ধি করতে বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।
সভায় বক্তারা বলেন, বাজেটে নারীর গুরুত্ব তুলে ধরে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখতে হবে। তবেই নারীরা আরও গতি নিয়ে কাজ করতে পারবেন। নারীদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে অবশ্যই বাজেটে বিশেষ কিছু রাখতে হবে এবং বরাদ্দগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আয়োজক সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির।