banner

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 480 বার পঠিত

 

গরমের ফোস্কা থেকে রেহাই পাওয়ার ঘরোয়া উপায়

গরমের সময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোস্কা পড়তে দেখা যায়। এই ফোস্কাগুলো তরলে পূর্ণ থাকে এবং এরা গুচ্ছাকারে থাকে। সূর্যের ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির প্রভাবে ফোস্কা পড়ে। এই ফোস্কা অস্বস্তিকর হয় এবং কখনো কখনো প্রচন্ড ব্যথা ও চুলকানি হয়। যদি এতে ইনফেকশন হয় তাহলে অনেক বেশি ব্যথা হয় ও ফুলে যায় এবং জ্বর আসে। এদের চামড়ার ভাঁজের মধ্যে হতে দেখা যায়। সাধারণত হাত বা পায়ে ফুসকুড়ি হতে দেখা যায় ঘষা বা চাপ দেয়া হয় বলে। চামড়ার নীচের ঘাম নালীর মধ্যে যদি ঘাম আটকে যায় তাহলে ছোট ফোলা অংশ বা ফুসকুড়ি হয়। সানবার্ন ব্লিস্টার সহজ ও ঘরোয়া উপায়ে নিরাময় করা যায়। ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে ব্যথা কমে, ইনফেকশন প্রতিরোধ করে এবং দ্রুত নিরাময় হয়। ঘরোয়া প্রতিকারগুলো সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।

১। ঠান্ডা চাপ

গরমের ফোস্কার ব্যথা ও প্রদাহ কমতে সাহায্য করে ঠান্ডা চাপ। এজন্য ঠান্ডা পানির মধ্যে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে নিয়ে অতিরিক্ত পানিটুকু চেপে ফেলে দিন এবং আক্রান্ত স্থানে তোয়ালেটি দিয়ে রাখুন। দিনে কয়েকবার এই প্রক্রিয়াটি করুন। এতে ফুসকুড়ির জ্বালা যন্ত্রণা কমবে।

সতর্কতা- কখনোই সরাসরি বরফের টুকরো ফোস্কার উপর দিবেন না। কারণ এতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। যতদিন ফোস্কা থাকে ততদিন গোসলের সময় গরম পানি ব্যবহার না করাই ভালো। এর পরিবর্তে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন। এতে ব্যথা কমতে সাহায্য করবে।

২। অ্যালোভেরা

হালকা পুড়ে যাওয়ার চিকিৎসায় ও সান বার্ন ব্লিস্টার ভালো করতে অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকরী। এটি ব্যথা কমতে সাহায্য করে, ক্ষতিগ্রস্থ ত্বককে রি-হাইড্রেট করে এবং নিরাময়কে ত্বরান্বিত করে। একটি অ্যালোভেরার পাতার মাঝ বরাবর কেটে জেল বাহির করে নিন। ফুসকুড়ির উপরে এই জেল লাগান এবং শুকাতে দিন। অ্যালোভেরাতে এস্ট্রিঞ্জেন্ট বা কষাটে উপাদান থাকে যা ফুসকুড়ি পরিষ্কার রাখে ও সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।

৩। আলু

কাঁচা আলু ত্বককে ঠান্ডা করতে পারে, ব্যথা কমাতে পারে এবং নিরাময়কে ত্বরান্বিত করতে পারে। কাঁচা আলু ভালো করে ধুয়ে নিয়ে মোটা করে টুকরা করুন। তারপর এদের ব্লেন্ডারে দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ফুসকুড়ির উপরে লাগিয়ে শুষ্ক হতে দিন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতিদিন লাগান ফুসকুড়ি ভালো হয়ে যাওয়া পর্যন্ত। আলুর সাথে শশার টুকরা মিশিয়ে নিতে পারেন।

এছাড়াও ভিনেগার, ওটমিল, হলুদ, ব্ল্যাক টি, টুথপেস্ট, টি ট্রি ওয়েল ও কর্ণস্টার্চ ব্যবহার করেও গরমের ফোস্কা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। গরম আর্দ্র আবহাওয়া ফোস্কা পড়ার জন্য উপযুক্ত। ফুসকুড়ি সুই দিয়ে ফুটো করা ঠিক নয়। এতে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় এবং আবারও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর পরিবর্তে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত এদের ব্যান্ডেজ করে রাখা ভালো। গরমের ফুসকুড়ি প্রতিরোধ করার জন্য সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঘরের ভিতরে থাকার চেষ্টা করুন। সব সময় হাইড্রেটেড থাকার চেষ্টা করুন পানি বা লেবুর জুস পান করে।

 

লিখেছেন-

সাবেরা খাতুন

Facebook Comments