banner

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 609 বার পঠিত

 

সফলতার শর্ত মেধাশ্রম

হুইটম্যান নামেই তিনি ব্যবসায়ীক দুনিয়ায় সুপরিচিতি। পুরো নাম মার্গারেট কুশিং হুইটম্যান। ৪ আগস্ট, ১৯৫৬ নিউইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হার্বার শহরে তার জন্ম। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া শহরে বসবাস করছেন। রিপাবলিকান রাজনৈতিক দলের মতাদর্শ তার পছন্দ। প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৭ সালে অর্থনীতিতে বিএ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপর হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে ১৯৭৯ সালে এমবিএ শেষ করেন। ১৯৮০ সালে বিয়ে করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই সন্তানের মা । শক্ত হাতে সংসারও সামলাছেন তিনি।

১৯৭৯ সালে সিনসিনাটিতে প্রোক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বলের ব্র্যান্ড ম্যানেজার হিসেবে তার কর্মজীবনের সূচনা। এরপর শুধুই এগিয়ে চলা। বর্তমানে বিশ্বের আলোচিত সিইও। গত জুলাইয়ে এইচপির বোর্ড অব চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। সফল নারীরা সাধারণ মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করেন। তেমনই একজন সফল নারী মেগ হুইটম্যান। বিশেষ করে নারী অঙ্গনে সাফল্যের অগ্রদূত মনে করা হয় হুইটম্যানকে। স্মার্টফোন আর ট্যাবলেট আধিপত্যের সময়ে হুইটম্যান এখনও বিশ্বাস করেন ডেস্কটপ কম্পিউটারের দিন শেষ হয়ে যায়নি। বিখ্যাত টিভি চ্যানেল সিএনবিসিতে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ডেস্কটপ পিসি নিয়ে তার দৃঢ় আশার কথা জানিয়েছেন। বাণিজ্যিকভাবে এইচপির সুবিশাল পণ্যের সম্ভার আছে।

কারণ এইচপি ভার্চুয়াল ডেস্কটপ এবং ওয়ার্কস্টেশন থেকে ডেস্কটপ অবধি বহু পণ্য রয়েছে। এছাড়াও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ল্যাপটপ, হাইব্রিড এবং ট্যাবলেট পণ্যের মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এইচপি। হুইটম্যান জানালেন, ভবিষ্যতের জন্য ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট কম্বো ডিভাইসের গবেষণা করছে এইচপি। এইচপিতে বছরে মাত্র ১ ডলার বেতন নিয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন তিনি। তবে নগদ অর্থ এবং এইচপির শেয়ার নিচ্ছেন তিনি। ২০১২ অর্থবছরে ২৪ লাখ ডলার বোনাস নিয়েছেন। এ ছাড়াও এইচপির লক্ষ্য পূরণে তিনি ৬০ লাখ ডলার বোনাসও পাবেন। হুইটম্যান ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ সাল অবধি অনলাইন নিলাম সাইট ইবে-এর সিইও ছিলেন। তার আমলেই ইবে মাত্র ৩০ জনের প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫ হাজার কর্মীর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। বার্ষিক আয় ৪০ লাখ ডলার থেকে বেড়ে ৮০০ কোটি ডলারে পৌঁছে যায়।

যদিও এইচপির জন্য সময়টা ভালো যাচ্ছে না। নানামুখী চাপই সামলাতে হচ্ছে হুইটম্যানকে। অনেকটা সময়ের ভাবনার উল্টো পথেই এগোচ্ছেন হুইটম্যান। তাই এইচপি নিয়ে ভবিষ্যৎ ভাবনায় তিনি বলেছেন, একেবারেই নতুন কিছু কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। সামনের প্রান্তিকগুলোয় নতুন বাজার লক্ষ্য করে কিছু উদ্ভাবন নিয়ে আসার পরিকল্পনা আছে। তাই সামনের প্রান্তিক থেকেই এইচপির আয় ও মুনাফা বাড়বে। নতুন একটি ট্যাবলেট পিসি দিয়ে মোবাইল ডিভাইসের বাজারেও আবার আত্মপ্রকাশ করেছে এইচপি।

তবে হুইটম্যানের গল্পের শুরুটা ১৯৮০ সালে। কাজের হাতেখড়ি দ্য ওয়াল্ট ডিজনিতে। কাজের মাধ্যমে প্রথম কর্মক্ষেত্রেই বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন হুইটম্যান। এরপর একে একে নির্বাহী হিসেবে কাজ করেছেন ড্রিমওয়ার্ক এবং হ্যাজব্রোর মতো প্রতিষ্ঠানে। একান্ত কর্মনিষ্ঠা আর পরিশ্রম যে কাউকেই মেলে ধরে। মেগ হুইটম্যান যেন তারই প্রমাণ। তিনি বিশ্বাস করেন, সফলতার প্রথম শর্তই হচ্ছে মেধাশ্রম।

Facebook Comments