২০১৪ সালের সবচেয়ে প্রতিভাবান উদ্যোক্তার মধ্যে একজন নির্বাচিত হয়েছেন লীলা জানাহ। নিজের কোম্পানি ‘সামাসোর্স’ দিয়েই এই অবস্থানে আসেন লীলা। মূলত ডিজিটাল কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করার জন্যই তার এই প্রচেষ্টা।
৯ অক্টোবর, ১৯৮২ সালে জন্মগ্রহণ করা এই প্রতিভাবান নারী জীবনের প্রতি পদেই দিয়েছেন নিজের ব্যতিক্রমধর্মী মানসিকতার পরিচয়। ১৬ বছর বয়সে স্কলারশিপ পেয়েও তাতে না পড়ে ঘানায় শিক্ষকতা করার ইচ্ছা পোষণ করেন এবং পরবর্তীতে ‘আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’-এর উপর ডিগ্রি নেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর কাজ করেন বিশ্বব্যাংক এবং আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে।
নিজের মতো কিছু করা এবং দারিদ্র্য দূরীকরণের ইচ্ছা থেকেই মূলত ‘সামাসোর্স’-এর যাত্রা শুরু। নারী এবং তরুণ সমাজের কর্মসংস্থানের জন্যই এর কাজ করে চলা। ডিজিটাল ট্র্যান্সকিপশন, ইমেজ ট্যাগিং, কারিগরি জ্ঞান ইত্যাদি আরও অনেক ধরনের কাজের সুযোগ করে দেয় এই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার ৬ বছর পর এটি প্রায় ৪০০০ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। গুগল, ই-বে, মাইক্রোসফট, লিঙ্কেডিন ইত্যাদি বড় বড় প্রতিষ্ঠান থেকে আয় করেছে প্রায় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
‘কিছু মানুষ দারিদ্র্যসীমার এত নিচে বসবাস করে আর কিছু মানুষ এত অভিজাত জীবন যাপন করে যে, এই অসামঞ্জস্য আমার সহ্য করতে কষ্ট হয়। আমি যদি এই দরিদ্রদের জন্য কিছু করতে না পারি তাহলে আমি নিজেকেই সহ্য করতে পারব না। এই কারণেই আমি তাদের কর্মসংস্থানের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। যখন আমি অনুন্নত দেশগুলোতে কাজ করেছি, তখন সবার সাথে কথা বলার পর আমার মনে হয়েছে সবার প্রথম চাহিদা হলো চাকরি।’
লীলা প্রিক্স নেট-এক্সপ্লোরেটর অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন ফ্রেঞ্চ সিনেট থেকে ২০১০ সালে। এছাড়াও সামাসোর্সের সাথে সম্পৃক্ততার কারণে আরও অনেক কিছু অর্জন করেন তিনি।
– ফোর্বস
Facebook Comments