banner

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 175 বার পঠিত

 

নারী প্রযুক্তি সম্মেলন ২০১৫ অনুষ্ঠিত

1423126028
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে হয়ে গেল নারী প্রযুক্তি সম্মেলন। এতে নারী নেতৃত্ব নিয়ে কথা বলেন দেশের প্রবীণ ও নবীন সফল নারীরা। বক্তারা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এগিয়ে যাওয়ার গল্প করেন। সেসব নিয়েই এই প্রতিবেদন।
আলোচকদের মধ্যে ছিলেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, অনলাইন ভিত্তিক নারী উদ্যোক্তা, আইনজীবী, মোবাইল অপারেটর কোম্পানির কর্মকর্তা ও আইটি ক্ষেত্রে কর্মরত সরকারের আমলাসহ অনেকে। শুরুতে সঞ্চালক সামিরা জুবেরী হিমিকা নবীনদের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে প্রশ্ন করলে দৈনিক ইত্তেফাকের প্রকাশক ও ক্লিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক তারিন হোসেন মঞ্জু বলেন, ৬২ বছরের একটি পত্রিকাকে যখন আমি ‘ক্লিক ইত্তেফাক’ করে অনলাইনে নিয়ে আসতে চাই, তখন প্রথমেই আমাকে ‘না’ শুনতে হল। বলা হল এত পুরানো ও ঐতিহ্যবাহী একটি পত্রিকাকে তুমি পারবে না ক্লিক করে অনলাইনে নিয়ে আসতে। আমি আমার লক্ষ্যে অবিচল ছিলাম। আমার বিশ্বাস ছিল আমি পারবো। বিশ্বাসটা বাস্তবে প্রতিফলিত হয়েছে বলেই আজ এই ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে টেক উইম্যানে এসে একথা বলতে পারছি। আমি শিখেছি চলার পথে ‘না’ আসবে। লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে ‘না’ কে প্রতিহত করতে হবে।

গ্রামীণফোনের ডিজিটাল সার্ভিসের সিনিয়র স্পেশালিস্ট শায়মা রহমান বলেন, প্রতিবন্ধকতা থাকবে। কিন্তু লেগে থাকতে হবে। তাহলেই একদিন নতুন দিনের নতুন সকাল তোমাকে হাত ছানি দিয়ে ডাকবে।
ফিউচার সলিউশন ফর বিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদেকা হাসান সেজুতি মনে করেন আমি কিছু করতে চাই। আমার একটা পরিচয় হবে এই স্বপ্নই সব বাধা পেছনে ফেলবে। বাকিরা বলেন, নিজের শিক্ষা আত্মবিশ্বাস আর পরিশ্রম করার ক্ষমতা অন্যদের চেয়ে আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কাজের ক্ষেত্রে নিজের মন কি বলে তা মেনে চলার ওপরও তারা জোর দেন। কাজের সাথে ভালবাসা জড়িয়ে থাকলেই সে কাজে সফলতা আসে।
বক্তারা বলেন, যখন যা করবো সেটাই আনন্দ নিয়ে করতে হবে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ শত ব্যস্ততার মধ্যে রান্না করতে পছন্দ করেন। তারা বলেন, রাতে গিয়ে যে দিন রান্না করি, সেটাই নতুন এক ভালোলাগা নিয়ে উপভোগ করি। বোরিং নেস জীবন থেকে ঝেরে ফেলতে হবে। করার জন্য কিছু করা জীবনে প্রবেশ করবে না বরং পেশাই পেসন, পেশাই তোমার পরিচয়।
মিস ম্যাচ বা এ কাজ আমার জন্য নয় এমন প্রশ্নের জবাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তারা বলেন, অনেকে পরিবারে আদি পেশা ছেড়ে নিজের নতুন পেশায় এসেছেন। তারা প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছেন বলেই ভুল করেননি। বাবা-মা অনেক সময় নিজেদের পছন্দ মেয়েদের ওপর চালিয়ে দেন। তা থেকে তখনই বেরিয়ে আসা সম্ভব যখন আপনার আত্মবিশ্বাস থাকবে আপনি পারবেন। আর পারার জন্য নিজেকে যোগ্য করতে হবে। এই যুগের নারী কোনভাবেই প্রযুক্তি থেকে আলাদা নয় বরং যোগ্যতার বলেই প্রযুক্তি নির্ভর পেশায় তারা।

বক্তারা জানান, একটি মোবাইল ফোন দিয়ে আজ তারা যোগাযোগ করছে। কেনাকাটা করছে, ব্যাংকিং করছে, ছবি তুলছে, গান শুনছে, ছবি দেখছে, ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে ভালোমন্দ শেয়ার করছে। আবার বাড়িতে বসে অফিসের কাজও করছে। তাই তথ্য প্রযুক্তি নারীর জন্য আলাদা কোন বিষয় নয়। তবে সকল নারী এখনও সেভাবে এই বিশাল জগতে বিচরণ করতে পারছে না। যারা যত বেশি তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর হবে তারা তত বেশি আপডেটেট হবে।
মেয়েদের নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতার আলোকে ডিনেটের নির্বাহী পরিচালক অনন্য রহমান বলেন, ভুল থেকে শেখা আর পরিশ্রমই নারীকে তথ্য প্রযুক্তির কাজে সফল করতে পারে। এই ডায়নামিক তরুণরা আগামী দিনের দেশকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সূত্র- ইত্তেফাক।

Facebook Comments