banner

শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 304 বার পঠিত

বাংলাদেশের নারী সংগঠন

বাংলাদেশ হিউম্যান রাইট ফাউন্ডেশন
২০০৯ সালের ২৩ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইট ফাউন্ডেশন। হিউম্যান রাইট ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান ২২ বছর ধরে আইন ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছেন। এই ফাউন্ডেশন পারিবারিক বিভিন্ন জটিলতায় মধ্যস্থতার মাধ্যমে আপস-মীমাংসার চেষ্টা করে এবং প্রয়োজনে নারীকে আদালতে আইনগত সহায়তা প্রদান করে। নারী নির্যাতনের বিভিন্ন স্পর্শকাতর ঘটনার প্রয়োজনবোধে তদন্ত এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করে। পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত স্পর্শকাতর ঘটনার ডকুমেন্টেশন, রিসার্চ এবং প্রয়োজনবোধে অ্যাডভোকেসি সহায়তা প্রদান করে নারীকে। এসব কর্মকাণ্ডের জন্য বিদেশি কোনো ডোনারের সহযোগিতা নেয় না, বরং দেশের যাঁরা বিত্তবান আছেন তাঁদের আর্থিকভাবে সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইট ফাউন্ডেশন।

যোগাযোগ :
বাংলাদেশ হিউম্যান রাইট ফাউন্ডেশন
৭১, শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি
মহাখালী, ঢাকা-১২১২
ফোন: ০৪৪৭৬৪০১৭১৭
E-mail: dhrf.hr_gmail.com
Web: alenakhan_dhrf.org.bd

নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা
১৯৮৯ সালের ৯ ডিসেম্বর নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা আত্দপ্রকাশ করে। দ্রুতই চলমান নারী আন্দোলনের সহায়ক একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা। বর্তমানে এটা ‘উইমেন্স রিসোর্স সেন্টার’ ও প্রকাশক হিসেবে কাজ করছে। কানাডার পিডবি্লউআরডিসহ আরো কিছু সাহায্য সংস্থার সহায়তা পায় নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা। দেশব্যাপী তৃণমূল পর্যায়ের নারী লেখকদের বই প্রকাশ এবং বিক্রি করা হয় এখান থেকে। দক্ষিণ এশিয়ার নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ নেটওয়ার্ক গঠন করেছে নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা। কৃষি শ্রমিক, আদিবাসী চা শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা ও সংরক্ষণে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা। দেশব্যাপী দাই সম্মেলন করে তাদের সংগঠিত করা করছে।

যোগাযোগ:
নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা
ফরিদা আখতার, নির্বাহী পরিচালক
২/৮, স্যার সৈয়দ রোড
মোহাম্মদপুর, ঢাকা

নারী প্রগতি সংঘ
ষাটের দশকে বাম ছাত্র রাজনীতি এবং পরে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী সমমনা কয়েকজন নারী এক হয়ে ১৯৮৬ সালে গঠন করেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ। তৃণমূল পর্যায়ে নারীকে তাঁর অধিকার, জীবনমান উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি দিয়ে সচেতন করে থাকে। তাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ট্রেনিং দেওয়া হয়। তিন-চার বছর ধরে মাইক্রো ফিন্যান্স ট্রাস্ট গঠন করেছে। যার মাধ্যমে ১৪ শতাংশ সুদের ভিত্তিতে আর্থিক ঋণ দেওয়া হয় উপার্জনক্ষম নারীকে এবং তাদের উন্নয়নের নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হয়। সমাজে নারী-পুরুষের বৈষম্যমূলক মতাদর্শ দূর করা, নারীবিরোধী মাদ্রাসা শিক্ষা সংস্কারসহ আরো অনেক নারীবিষয়ক ইস্যু নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ।

যোগাযোগ:
বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ
রোকেয়া কবির, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর
১৩/১৪, বাবর রোড (দ্বিতীয় তলা), ব্লক-বি
মোহাম্মদপুর হাউজিং এস্টেট
ঢাকা-১২০৭

নারীপক্ষ
পরিবার, সমাজে ও রাষ্ট্রে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৮৩ সালে নারীপক্ষ আত্দপ্রকাশ করে। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ, স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনায় সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, নারী নির্যাতনবিষয়ক গবেষণা, নারীর প্রতি বৈষম্য, অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং নারী অধিকার সংক্রান্ত নীতিমালা প্রভাবিতকরণ ইত্যাদি নারীপক্ষের মূল কর্মসূচি।
সদস্যদের স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময়ে উপার্জিত আয়ের মাধ্যমে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের ব্যয় নির্বাহ হয়। তবে নারীবান্ধব হাসপাতাল, নারীর স্বাস্থ্যসেবা_এমন কিছু প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য ডেনমার্কের একটি সাহায্য সংস্থা, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউনিসেফের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নিয়ে থাকে।

যোগাযোগ:
নারীপক্ষ
অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার, কর্মসূচি ব্যবস্থাপক
র‌্যাংকস নীলু স্কয়ার (পঞ্চম তলা)
রোড-৫/এ, প্লট-১, ৩, ৫
সাতমসজিদ রোড, ধানমন্ডি
ঢাকা-১২০৯

নারীকণ্ঠ ফাউন্ডেশন
১৯৯৮ সালের ১৬ জুন ড. রওশন আরার উদ্যোগে নারীকণ্ঠ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু। নারীকণ্ঠ মূলত নারীর প্রাথমিক উন্নয়ন এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান। নরসিংদীর পাঁচ-ছয়টি গ্রামের নারীদের জন্য খলাপাড়া গ্রামে নারীকণ্ঠের নিজস্ব জমিতে তৈরি করা হয়েছে চিকিৎসাকেন্দ্র, যেখানে নারী ও শিশুকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। ২০০৮ সালের শেষ দিকে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন শুরু করে নারীকণ্ঠ। মাইক্রোক্রেডিট থেকে ঋণ ক্ষতিগ্রস্ত নারীকে খুঁজে বের করে তাদের ঋণ গ্রহণের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করে দক্ষতা অনুযায়ী অফেরতযোগ্য অর্থ প্রদানের মাধ্যমে উপার্জনের ব্যবস্থা করা হয় এবং কর্মকাণ্ড নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হয়। পাশাপাশি নারী মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনাদের খুঁজে বের করে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়।

যোগাযোগ:
নারীকণ্ঠ ফাউন্ডেশন
ফারহানা রেজা, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর
১১/২, সিদ্ধেশ্বরী লেন (চতুর্থ তলা)
ঢাকা-১২১৭

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ
সুফিয়া কামাল, মালেকা বেগম, নুরজাহান মুর্শিদ, আয়েশা খানম_এমন আরো অনেক নারী যাঁরা ষাটের দশকে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, তাঁরা কয়েকজন মিলে ১৯৭০ সালের ৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। নির্যাতিত নারীকে বিনামূল্যে আইনি সহযোগিতা, নারীবিষয়ক আইন সংস্কার, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, সুবিধাবঞ্চিত নারীর দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ট্রেনিং দেওয়া এবং আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তির লক্ষ্যে বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের মূল কর্মসূচি।
প্রথম থেকে পরবর্তী দুই দশক ধরে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে চলেছে মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক কাজ। বর্তমানে নিজস্ব অর্থায়নের পাশাপাশি নরওয়ের একটি দাতা সংস্থা এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে দেশীয় আর্থিক সহায়তায় চলে পরিষদের কর্মকাণ্ড।

যোগাযোগ:
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ
আয়েশা খানম, সভাপতি
সুফিয়া কামাল ভবন
১০/বি/১, সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০
ফোন: ৭১৬৯৭০১

Facebook Comments