গত শতকের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নারীরা পেয়েছিল ভোটাধিকার। কর্ম ও পেশা নির্বাচনের স্বাধীনতা থেকে এখনো অনেক দেশেই বঞ্চিত তারা। তবে সুযোগ পেলে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে কার্পণ্য করছে না নারীরা। এ মুহূর্তে বিশ্বের ১৯টি দেশের কর্তৃত্ব এখন তাদের হাতে। গৌরবের বিষয়, এ তালিকায় নাম রয়েছে বাংলাদেশেরও।
সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে নারী নির্বাচিত হওয়ার সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে ক্রোয়েশিয়াতে। দেশটির রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন কোলিন্দা গ্রাবার কিতারোভিচ। এর আগে তিনি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিতারোভিচ হচ্ছেন দ্বিতীয় নারী প্রেসিডেন্ট, যিনি ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ তালিকায় সর্বপ্রথম নাম নিকারাগুয়ার ভিয়োনেতা বামেরো। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশের মধ্যে যে দেশগুলোর সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান নারী সেগুলো হলো জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, ব্রাজিল, চিলি, আর্জেন্টিনা, লাইবেরিয়া, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, নরওয়ে, স্কটল্যান্ড, ডেনমার্ক, জার্মানি, ক্রোয়েশিয়া, মাল্টা, পোল্যান্ড, কসোভো, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া।
এর মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দু’জন ই পর পর তিনবার সরকারপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার শ্রীমাভো বন্দরনায়েক ছিলেন বিশ্বের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। আর আর্জেন্টিনার ইসাবেলা মার্তিনেজ ছিলেন প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
সূত্র : বিবিসি।