অপরাজিতা ডেস্কঃ যে কারণে বাংলাদেশে এসেছিলেন একাত্তরের যুদ্ধশিশু মনোয়ারা ক্লার্ক, তাতে সফল হয়ে কানাডায় ফিরে যাচ্ছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মনোয়ারাকে জন্ম সনদ দেয় বলে জানিয়েছেন তার বন্ধু কাজী চপল, যার সঙ্গে ফেইসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরেই মনোয়ারার মাতৃভূমিতে ফিরে আসা।
চপল বলেন, “তার জন্মসনদে কানাডার ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। আর বাংলাদেশের ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে লালবাগ থানার ঠিকানা।”
রোববার সকালে মনোয়ারা ক্লার্ক কানাডা ফিরে যাচ্ছেন বলে চপল জানান।
বৃহস্পতিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিজামউদ্দিন মনোয়ারাকে জন্মসনদ দেন। আর অঞ্চল-৩ এর সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফাহমিদা মনির তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলার সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতনে মৃত নারীর গর্ভ থেকে জন্ম মনোয়ারার। স্বাধীনতার পর তাকে দত্তক নেয় কানাডার একটি পরিবার। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে সেখানেই তার বসবাস।
বাংলাদেশি হলেও জন্মসনদ না থাকায় তা নিতে সম্প্রতি ঢাকায় আসেন মনোয়ারা। এই সময়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, রায়েরবাজার বধ্যভূমিসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো ঘুরে দেখেন তিনি।
মনোয়ারার আকুতি দেখে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কর্মকর্তারা।
সনদে মনোয়ারা বেগম ক্লার্কের জন্ম তারিখের জায়গায় লেখা হয়েছে ১৯ মে, ১৯৭১। পিতা ও মাতার জায়গায় লেখা হয়েছে লালবাগ থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তার নাম।