banner

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 226 বার পঠিত

নারীর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা

130919_AMIN_IN_HEALTH

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনে সহায়তা করে। শুধু তাই নয়, রোগ থাকলে তা আগেই ধরা পড়ে এবং চিকিৎসা সহজ হয়। ১৮ বছর বয়স থেকেই একজন নারীর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত। বিস্তারিত জানিয়েছেন ডাক্তার রেজাউল করিম কাজল।

রক্তচাপ পরীক্ষা

১৮ থেকে ৩৯ বছর পর্যন্ত প্রতি দুই বছর পর পর একজন নারীর রক্তচাপ মাপা উচিত। যাঁদের পরিবারে উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগের ইতিহাস আছে, তাঁরা এ ব্যাপারে আরো সতর্ক থাকা জরুরি। আর যাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তাঁদের উচিত চিকিৎসকের পরামর্শমতো রক্তচাপ মাপা। আর ৪০ থেকে ৬৪ বছর বয়স হলে প্রতিবছর একবার রক্তচাপ মাপতে হবে।

রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা পঁয়তাল্লিশোর্ধ নারীর প্রতিবছর একবার করে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা দেখে নেওয়া উচিত।

ডায়াবেটিস পরীক্ষা

যদি রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে, তাহলে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে প্রতি তিন বছর পর পর এবং চল্লিশের পরে প্রতি দুই বছর পর পর রক্তের সুগার বা ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত।

দাঁতের চেকআপ

যেকোনো বয়সের নারীর প্রতিবছর দাঁত ও মাড়ির পরীক্ষা করা দরকার। এতে দাঁতের বিভিন্ন রোগ, মুখগহ্বর, জিহ্বার ক্যান্সারের লক্ষণ অনেক আগেই ধরা পড়তে পারে।

দৃষ্টিশক্তির পরীক্ষা

২০ থেকে ৪০ বছরের একজন নারীর প্রতি দুই বছর পর পর চোখের দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করা দরকার। চল্লিশের পরে সাধারণত প্রতিবছর দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষার প্রয়োজন হয়।

শৈশবে সরকার প্রদত্ত সব টিকা অবশ্যই নিতে হবে। মেয়েদের জন্য বিশেষভাবে দুটি টিকা অপরিহার্য। একটি রুবেলা অন্যটি সারভাইক্যাল ক্যান্সার। এ দুটি টিকা বয়ঃসন্ধিকালে নিলে ভালো। অন্যদিকে অধিক বয়সে অন্ত্র বা কোলন ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার ইত্যাদি রোগ দেখা দেয়। এসব রোগের জন্য নিয়মিত কোনো পরীক্ষা করতে বলা হয় না। শুধু যাঁদের বংশে এসব রোগের ইতিহাস আছে বা যাঁরা এসব রোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তাঁদেরই বিশেষ কিছু পরীক্ষা করতে চিকিৎসক পরামর্শ দেন। অন্যদিকে যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি অসুখ যেমন- ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনিজনিত সমস্যা, লিভার রোগে ভুগছেন, তাঁদের চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক করবেন।

Facebook Comments