banner

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 124 বার পঠিত

নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে–শেখ হাসিনা

PMপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচন  অবাধ, মুক্ত ও নিরপেক্ষ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায়।

শনিবার জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল পাঠাতে জাতিসংঘের মহাসচিবকে অনুরোধ করেন।

জাতিসংঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে জোট পরিত্যাগ করে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে এলে পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে কোনো রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দেশের স্বার্থে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। বিএনপি নির্বাচন চাইলে তারা নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে পার্লামেন্টে প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, বান কি-মুন সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এমডিজি) বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যের প্রশংসা করেছেন। জাতিসংঘের মহাসচিবের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, এমডিজি অর্জনে যে গুটি কয়েক দেশ দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে, বাংলাদেশ তার অন্যতম।

দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুসংহত করতে তার সরকারের নিরলস প্রয়াসের কথা জাতিসংঘের মহাসচিবকে অবহিত করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত ৩৮ বছরে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনে জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ক্ষমতালিপ্সুরা ভোটকেন্দ্র দখল করে, টাকা ছড়িয়ে এবং গুন্ডা লেলিয়ে দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়ে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করে।

তার নিউইয়র্ক সফরকে খুবই সফল হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত তিন বছরের মতো এবারো তিনি অনেক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন, মূল নিবন্ধ উপস্থাপন এবং কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী মানুষ যেন তাদের মৌলিক অধিকার পূরণ করতে পারে, সেই পরিবেশ সৃষ্টিতে তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচনে বর্তমান সরকার শিক্ষার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।

তিনি বলেন, তার সরকার সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশের ক্ষমতা হস্তান্তরে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জাতির ভবিষ্যতের কথা মনে রেখে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, তার সরকার সামরিক শাসন, জরুরি অবস্থা এবং সেনা সমর্থিত সরকারের নামে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের অবৈধ সংস্কৃতি বন্ধ করতে সংবিধান সংশোধন করেছে।

তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধানের আহ্বান জানানোর জবাবে বিরোধীদলীয় নেত্রী ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেছিলেন, শেখ হাসিনা পালানোরও পথ পাবেন না। শুধু তা-ই নয়, বেগম খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধী জামায়াত আর হোফাজতে ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করেছেন।

শনিবার নিউইয়র্কের হোটেল হিলটনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি এ কথা বলেন।

মহাজোট সরকার সততার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করছে বলেই দেশ আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্মান অর্জন করেছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিএনপি দেশকে একটি সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি দিয়েছিল, কিন্তু মহাজোট সরকার দেশকে উন্নয়নের প্রথম সারিতে নিয়ে গেছে। সারা বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে সেই স্বীকৃতি দিয়েছে।

নাগরিক সংবর্ধনায় আরো বক্তৃতা করেন শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং জাসদের মঈনুদ্দিন খান বাদল।

Facebook Comments