ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী শান্তা আক্তার।
মঙ্গলবার দুপুরে পৌর সদরের দত্তপাড়া গ্রামে গিয়ে এ বাল্যবিবাহ ভেঙে দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যট রাশেদ হোসেন চৌধুরী।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ঈশ্বরগঞ্জ বিশ্বেশ্বরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী দত্তপাড়া গ্রামের মানিক মিয়ার মেয়ে শান্তা আক্তারকে মঙ্গলবার বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল পাশের মধুপুর গ্রামের রিপন মিয়ার (৩০) সঙ্গে।
শান্তার বান্ধবীরা এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিম উদ্দিনকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেন।
পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ হোসেন চৌধুরী ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফারহানা ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়ে বর আসার আগেই এ বাল্যবিবাহ ভেঙে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) রাশেদ হোসেন চৌধুরী জানান, শান্তার বাবা-মা ১৮ বছরের আগে তার মেয়েকে আর বিয়ে দেবে না বলে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। পরে স্কুলছাত্রী শান্তাকে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামছুদ্দিনের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
অপরাজিতাবিডি ডটকম/প্রতিনিধি/আরএ/এ/সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.