অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা: ইফতারিতে খেজুর খুবই পরিচিত খাবার। চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন খেজুর দিয়ে রোজা ভঙ্গ করার। কারণ এটি দ্রুত আপনাকে চনমনে করে তোলে। এতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান আমাদের হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক ও হজম শক্তিকে ভালো রাখে। তাজা বা শুকনো দুই প্রকার খেজুরই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
এবার দেখা যাক ১০০ গ্রাম খেজুরে আমরা কী কী পুষ্টি উপাদান পেতে পারি। বন্ধনীতে দেখানো হলো প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় উপাদানের কত ভাগ খেজুরে পাওয়া যায়। ৬.৭ গ্রাম আঁশ (২৭ ভাগ), পটাশিয়াম ৬৯৬ মিলিগ্রাম (২০ ভাগ), কপার ০.৪ মিলিগ্রাম (১৮ ভাগ), ম্যাঙ্গানিজ ০.৩ মিলিগ্রাম (১৫ ভাগ), ম্যাগনেশিয়াম ৫৪ মিলিগ্রাম (১৪ ভাগ), ভিটামিন বি৬ ০.২ মিলিগ্রাম (১২ ভাগ) ও অল্প পরিমাণ ভিটামিন এ। এছাড়া এতে আছে প্র্রচুর চিনি। যা প্রতি ১০০ গ্রামে ৬৬.৫ পর্যন্ত হতে পারে।
নিচে এর কিছু উপকারিতা জানানো হলো-
১. এতে অদ্রবণীয় ও দ্রবণীয় দুই ধরনের আঁশ থাকে। আঁশ আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। বৃহদান্ত্র ও অন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক রাখে। ফলে মলাশয় প্রদাহ, বৃহদান্ত্র ক্যান্সার ও অশ্বরোগের ঝুঁকি কমে।
২. খেজুর হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটা তো জানা কথা, আঁশ হৃদপিণ্ডের সক্ষমতা বাড়ায়।
৩. খেজুরে থাকা ম্যাগনেশিয়াম প্রদাহ নিরাময়ী খনিজ হিসেবে বেশ পরিচিত। ম্যাগনেশিয়াম কার্ডিওভাস্কুলার রোগ, আথ্রাইটিস, অ্যালঝাইমারসহ অন্যান্য প্রদাহজনিত স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমায়।
৪. ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়। পটাশিয়াম আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। এটি হৃদপিণ্ডকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। যার ফলে রক্তচাপ কমে।
৫. গর্ভবতীদের জন্য খেজুর পুষ্টিকর খাবার। এটি সন্তান জন্মদান সহজ করে দেয়।
৬. এতে আছে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার অত্যন্ত দরকারি ভিটামিন বি৬।
৭. এতে থাকা ভিটামিন এ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদানের জন্য বেশ পরিচিত। যা দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো। এছাড়া মিউকাস মেমব্রেন ও ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর। ভিটামিন এ ফুসফুস ও মুখ গহ্বরের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
অন্যান্য উপকারিতার মধ্যে রয়েছে- ওজন কমায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ডায়রিয়ায় বেশ উপকারি, আয়রনের ঘাটতি কমায় এবং ধ্বজভঙ্গ প্রতিরোধী।
অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০১ জুলাই ২০১৪ই.