মার্কিন কারাগারে বন্দি পাকিস্তানি স্নায়ুবিজ্ঞানী ড. আফিয়া সিদ্দিকীকে শিগগিরই মুক্তি দেওয়া হতে পারে। তার মুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে তদবিরকারী প্রতিনিধি দলের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইকবাল জাইদি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. জাইদি জানান, ড. আফিয়া গুরুতর স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছেন। তবে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা ছাড়ার আগে তার সাজা কমিয়ে দিতে পারেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ড. জাইদি আরও জানান, তিন সদস্যের একটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের প্রতিনিধিদল এই বিষয়ে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিল। যদিও তাদের মূল লক্ষ্য ছিল প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা, কিন্তু ভিসা জটিলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। এর পরিবর্তে তারা মার্কিন সিনেটর এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মানবিক কারণে ড. আফিয়ার মুক্তির আহ্বান জানিয়ে বাইডেনকে একটি চিঠি দিয়েছেন। যদি বাইডেন ব্যবস্থা না নেন, তাহলে পাকিস্তান সরকার নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করবেন।
২০০৩ সালে করাচি থেকে তিন সন্তানসহ আটক হওয়ার পর ড. আফিয়ার জীবন এক অবিশ্বাস্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়। তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তর করে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এটি এমন একটি অপরাধ যার জন্য মার্কিন আইনে সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছর।
ড. জাইদি বলেন, ড. আফিয়া ২০ বছর ধরে তার সন্তানদের থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন।
তার এই মুক্তি ২৫ কোটি পাকিস্তানি এবং বিশ্বের ২ বিলিয়ন মুসলমানের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি উন্নত করবে।
ড. আফিয়া সিদ্দিকীর এই মুক্তির বিষয়ে পাকিস্তানসহ বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আগ্রহ ও প্রতীক্ষা তৈরি হয়েছে।