খেলা একটি শিশুর শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান উপায়। প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে পড়াশোনা, কোচিং, এবং প্রযুক্তি আসক্তির কারণে শিশুরা প্রকৃত খেলার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে খেলার গুরুত্ব অনুধাবন করে শিশুদের নিয়মিত খেলতে দেওয়া প্রত্যেক অভিভাবকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
খেলা শিশুর শারীরিক বিকাশে সহায়ক। নিয়মিত খেলার মাধ্যমে শরীর মজবুত হয়, মাংসপেশি শক্তিশালী হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি, খেলাধুলা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শিশুর মধ্যে আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্বদানের গুণাবলী এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা তৈরি করে।
খেলা শিশুদের সামাজিক সম্পর্ক গড়তেও সাহায্য করে। দলগত খেলাগুলোর মাধ্যমে শিশুরা পরস্পরের প্রতি সহযোগিতা, সহমর্মিতা এবং শ্রদ্ধাবোধ শেখে। এ ছাড়া, খেলার সময় শিশুরা নিয়ম মেনে চলা এবং দায়িত্বশীল হওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলে।
অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিদিন অন্তত অল্প সময় খেলার জন্য উৎসাহ দেওয়া। প্রাকৃতিক পরিবেশে খেলাধুলার সুযোগ দিলে তারা আরও বেশি উপকৃত হবে।