বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. লামিয়া মাওলা এবং তার নেতৃত্বাধীন ২১ জন গবেষকের একটি দল নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (JWST) থেকে প্রাপ্ত ডেটা ব্যবহার করে প্রাথমিক মহাবিশ্বের একটি নতুন গ্যালাক্সি আবিষ্কার করেছেন। গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি ১১ ডিসেম্বর বিশ্বখ্যাত Nature জার্নালে প্রকাশিত হয়।
গবেষণার শিরোনাম ছিল:
“Formation of a low-mass galaxy from star clusters in a 600-million-year-old Universe”।
এই গ্যালাক্সির নাম দেওয়া হয়েছে “ফায়ারফ্লাই স্পার্কল”, যা বিগ ব্যাংয়ের মাত্র ৬০০ মিলিয়ন বছর পরে গঠিত হয়েছিল। এটি মহাবিশ্বের প্রথমদিকের গ্যালাক্সিগুলোর গঠন ও বিকাশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ নতুন তথ্য দিয়েছে।
“ফায়ারফ্লাই স্পার্কল” গ্যালাক্সির বৈশিষ্ট্য
গবেষণা অনুযায়ী, “ফায়ারফ্লাই স্পার্কল” গ্যালাক্সিটি গঠিত ১০টি কম্প্যাক্ট স্টার ক্লাস্টার এবং দুটি ছোট গ্যালাক্সি নিয়ে। দুটি ছোট গ্যালাক্সির নাম রাখা হয়েছে:
ফায়ারফ্লাই নিউ বেস্ট ফ্রেন্ডগ্যালাক্সিটি থেকে যে আলো পৃথিবীতে পৌঁছেছে, তা এখানে আসতে সময় নিয়েছে প্রায় ১৩.২ বিলিয়ন বছর। তবে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের কারণে এটি এখন আমাদের থেকে আরও অনেক দূরে রয়েছে।
গবেষণার গুরুত্ব:
ড. লামিয়া মাওলার মতে, “ফায়ারফ্লাই স্পার্কল” গ্যালাক্সির গঠন অনেকটাই আমাদের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির প্রথমদিককার গঠনের মতো। এটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারলে আমাদের গ্যালাক্সির জন্ম এবং বিকাশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা পাওয়া যাবে।
ড. লামিয়া মাওলা: বাংলাদেশের গর্ব
ড. লামিয়া মাওলা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের ওয়েলেসলি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (IUB)-এর সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি, স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (CASSA)-এর সহযোগী সদস্য।
CASSA বাংলাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞান গবেষণা ও শিক্ষা প্রচারের একমাত্র প্ল্যাটফর্ম। ড. লামিয়ার এই অবদান বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও মহাকাশ গবেষণার জন্য এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
বাংলাদেশের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস
ড. লামিয়া মাওলার নেতৃত্বে এই গবেষণা বাংলাদেশের জন্য গর্বের একটি মুহূর্ত। এটি প্রমাণ করেছে যে, বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা আন্তর্জাতিক গবেষণায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট:
গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে: Nature জার্নাল
গ্যালাক্সির নাম: ফায়ারফ্লাই স্পার্কল
আলো আসতে সময় নিয়েছে: ১৩.২ বিলিয়ন বছর
নেতৃত্বে: ড. লামিয়া মাওলা
আপনার মতামত:
এই আবিষ্কার সম্পর্কে আপনার কী মতামত? নিচের কমেন্ট সেকশনে জানান!