banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 67 বার পঠিত

সন্তানকে ‘ফ্যাটি লিভার’ থেকে নিরাপদে রাখবেন যেভাবে

আজকাল অনেক শিশুর লিভারে ফ্যাট জমে। কারণ আজকালকার বাচ্চারা বাড়ির খাবার খেতে পছন্দ করে না। বরং বারবার তাদের মন কেড়ে নেয় পিৎজা, বার্গার, মোমো, বিরিয়ানি, চাউমিনের মতো খাবার। এমনকী তাদের মধ্যে অনেকেই কোল্ড ড্রিংকস, চকোলেট এবং মিষ্টির পোকা।

আর এসব খাবারের কারসাজিতেই বিপদে পড়ে তাদের লিভার। এই অঙ্গে জমে ফ্যাট। আর এই সমস্যার নামই হল ফ্যাটি লিভার। এই সমস্যার দিকে প্রথমেই নজর না দিলে মুশকিল! সেক্ষেত্রে শরীরের বড়সড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
তাই বিপদ বাড়ার আগেই এই প্রতিবেদন থেকে ছোটদের ফ্যাটি লিভারকে বশে আনার ৪ কৌশল সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন। তাহলেই অনায়াসে সমস্যাকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারবেন।
শিশুদের ​খেলতে পাঠান​
আপনার সন্তান কি মোবাইল, কম্পিউটারে গেম খেলে অভ্যস্ত? তাহলে আজ থেকেই তার এই অভ্যাসে বদল আনুন। তাকে সঙ্গে করে মাঠে যান।

সেখানে সমবয়সীদের সঙ্গে খেলতে দিন। আপনি চাইলে তাকে ফুটবল বা ক্রিকেট কোচিং সেন্টারেও তাকে ভর্তি করে দিতে পারেন। তাহলেই দেখবেন দ্রুত ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যাকে মাত দিয়ে সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে পারবে ছোট্ট সোনা।
​কমিয়ে ফেলুন ওজন​
সন্তানের ওজন বেশি থাকলে ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যার থেকে মুক্তি মিলবে না। তাই আজ থেকেই ছোট্ট সোনার ওজন কমানোর কাজে লেগে পড়ুন।

সেক্ষেত্রে তাকে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার পরামর্শ দিন। সে ব্যায়াম করতে না চাইলে সাঁতারে ভর্তি করে দিন। কিংবা তাকে সাইকেল চালাতেও বলতে পারেন। এই কাজটা করলেই উপকার মিলবে। দ্রুত কমে যাবে তার ওজন।
যেসব খাবার থেকে বিরত রাখবেন​
জানি আপনার সন্তান, ফাস্টফুডের জন্য পাগল! তাই সে রোজ রোজ বিরিয়ানি, রোল, চাউমিন, বার্গার খাওয়ার জন্য বায়না ধরে। তবে ভুলেও তাকে এসব খাবার কিনে দেবেন না। এই ভুলটা করলে সমস্যা আরও বাড়বে। তবে শুধু এসব খাবারই নয়, এর পাশাপাশি চিপস, চকোলেটের থেকেও তাকে দূরে রাখতে হবে। এমনকী খেতে দেওয়া চলবে না কোল্ড ড্রিংকস। আশা করছি, এসব খাবার এবং পানীয়কে ডায়েট থেকে দূর করে দিলেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।

​চেকআপে রাখুন​
বাচ্চার ফ্যাটি লিভার ধরা পড়লে মাঝে মাঝে চেকআপ জরুরি। তাই মাসে অন্তত একবার চিকিৎসকের কাছে যান। তিনি যদি ওষুধ বদলে দেন বা জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে বলেন, সেগুলি সন্তানকে মেনে চলতে বলুন। এমনকী তিনি কিছু টেস্ট দিলেও তা করে নিতে হবে। আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললেই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে ছোট্ট সোনা। তাই ঝটপট এই কাজে লেগে পড়ুন।

Facebook Comments