অনেক সময় দেখা যায়, বুঝে না বুঝে শিশুরা মিথ্যা কথা বলে। তবে শিশু মিথ্যা বলতে বলতে এমন হয় যে তার অভ্যাসে পরিণত হয়। তখন সে কারণে অকারণে মিথ্যা বলে।
মনোবিদদের মতে, শিশুদের মিথ্যে কথা বলার প্রবণতাকে প্রশয় দেয়া উচিত নয়। সন্তান কল্পনাপ্রবণ আর কোনো বিশেষ উদ্দেশে মিথ্যে বলছে কিনা বোঝার চেষ্টা করুন।
শিশুরা কেন মিথ্যা বলে?
১. শিশুরা কল্পনাপ্রবণ হলে মিথ্যের আশ্রয় নিতে পারে।
২. অনেক শিশু বিশেষ উদ্দেশে মিথ্যা কথা বলে। যেমন হয়তো তার সেদিন হোমওয়ার্ক হয়নি। সেদিন স্কুল না যাওয়ার জন্য সে পেটে ব্যথা, মাথাব্যথা বলতেই পারে।
৩. মা-বাবা খুব রাগী হলেও শিশুরা মিথ্যা বলে।
৪. বাড়ির বড়রা যদি মিথ্যা বলে শিশুরাও মিথ্যা বলতে শিখবে।
৫. বড়দের মতোই অপ্রিয় সত্য কথা গোপন করতেও শিশুরা মিথ্যা বলে।
কী করবেন?
১. শিশুরা বড়দের দেখে শেখে। তাই আগে নিজেকে সংশোধন করুন।
২. শিশুরা মিথ্যা বললে মারধর করবেন না। ঠাণ্ডা মাথায় বোঝান। কারণে-অকারণে মিথ্যা বলতে নেই।
৩. মনোবিদদের মতে, ছয় বছর বয়সের পর শিশুদের ‘সুপার ইগো’র বিকাশ ঘটে। তার ফলে কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল সে বুঝতে শেখে। এই সময় নীতিকথামূলক গল্প শোনান।
৪. শিশুদের সত্যি কথা বলার শিক্ষা অবশ্যই দিতে হবে।