পশ্চিমা বিশ্বের আলোচিত হিজাবী র্যাম্প মডেল হালিমা আদেন। সম্প্রতি তিনি ফ্যাশন দুনিয়াকে চিরতরে বিদায় জানিয়েছেন। তিনি এই খবর ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ইসলামী মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছিলো এ ইন্ডাস্ট্রি।
ব্রিটিশ ফ্যাশন ম্যাগাজিন- ভোগ, ভোগ অ্যারাবিয়া এবং মার্কিন জনপ্রিয় পত্রিকা- আলুউরের প্রচ্ছদে জায়গা করে নিয়েছিলেন সোমালিয়ান বংশোদ্ভুত এ মার্কিনী।
প্রথাগত মডেলিং ধারার বাইরে গিয়ে হিজাব পরিহিত অবস্থায় ক্যাটওয়াক করে সবার নজর কাড়েন হালিমা। ধীরে-ধীরে নিজের স্বতন্ত্র স্টাইল নিয়েই হয়ে ওঠেন ফ্যাশন আইকন। আর ক্যারিয়ারের চূড়ায় থাকা অবস্থায়ই হালিমা ঘোষণা দিলেন, আর ফিরবেন না মডেলিংয়ে। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করলেন ‘হিজাব স্টোরি’ নামে সিরিজ বার্তা। জানান- এ সিদ্ধান্তের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তার মা।
মার্কিন হিজাবী মডেল হালিমা আদেন বলেন, বহু আগেই মা মডেলিং ছাড়ার কথা বলেছিলেন। এখন মনে হচ্ছে, সেসময় এতোটা প্রতিবাদী না হলেও পারতাম। কারণ, তিনিই একমাত্র মানুষ যে সবসময় আমার কল্যাণ কামনা করেন। দ্বীন ও দুনিয়ার ব্যাপারে তার পরামর্শে বরাবর অটল ছিলেন মা।
হালিমার দাবি- চোখ ধাঁধানো ফ্যাশন দুনিয়া ইসলামিক মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে তাকে অনেকটাই দূরে সরিয়ে নিয়েছিলো। বিশেষ করে চলমান মহামারি পরিস্থিতি ধর্ম সম্পর্কে বেশি প্রভাবিত করেছে তাকে।
হালিমা আদেন বলেন, একজন মুসলিম নারী হিসেবে কী করা উচিৎ- সেটা চিন্তার সুযোগ তৈরি করে দিলো করোনা মহামারি। হিজাব পরে ফ্যাশন দুনিয়ায় টিকে থাকতে বহু চড়াই-উৎড়াই পার করেছি। আর হিজাবের মর্ম বুঝতে পারেন, এমন মুসলিম স্টাইলিস্টেরও বড় অভাব ইন্ডাস্ট্রিতে।
কেনিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে জন্মগ্রহণ করা হালিমা মাত্র ছয় বছর বয়সে পা দেন মার্কিন মুলুকে। ২০১৬ সালে প্রথমবার, মিস মিনেসোটা সুন্দরী প্রতিযোগিতায় হিজাব পড়ে অংশ নেন হালিমা। এর পরে কেবলই সামনে এগিয়ে যাওয়ার গল্প। সেটাই ছিলো তার ক্যারিয়ারের শুরু। জায়গা করে নেন ‘ভোগ’ ‘আলুউরে’র মতো জনপ্রিয় ফ্যাশন ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে। প্রথমবার, বুরকিনি পড়ে পোজ দিয়েছিলেন ‘স্পোর্টস ইলাস্ট্রেডের’ জন্যেও।