রমজানে ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়েট
নাজমিন নাহার
১.প্রথমেই আপনার শারিরীক অবস্থা অনুযায়ী ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ, ইনসুলিনের পরিমাণ ঠিক করে নিতে হবে।
২. খাদ্যাভাস এমনভাবে নির্ধারন করতে হবে যেন কোনো অবস্থাতে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা হাইপারগ্লাইসেমিয়া না হয়।
৩.এমন খাবার নির্বাচন করতে হবে যেন বডি ডিহাইড্রেটেড না হয়।
যেমনঃ
*সেহরিতে (আটা বা চালের রুটি/দুই তিন প্রকারের ডাল ও ওটসের মিক্সড খিচুরি/দুই তিন টেবিল চামচ ওটস দুধ দিয়ে রান্না / সামান্য ভাত + ডিম/ মাছ+ শাকসবজি + শসা/টমেটো/তরমুজ/খরমুজ+ প্রচুর পরিমাণে পানি।
*ইফতারি- সারাদিন রোযা রাখার ফলে শরীরের মেটাবলিক প্রসেসের অনেক পরিবর্তন হয়,এজন্য মেটাবলিক প্রসেস নরমাল রাখতে প্রচুর পানি,ডাবের পানি, বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস( তরমুজ,কাচা আম,কমলা,মালটা),লেবুর শরবত খেতে হবে।শরবত অথবা জুসের সাথে তুকমা বা ইসুবগুলের ভুসি খাওয়া যাবে, কিন্তু কোন অবস্থাতেই চিনি,গুড়,মিস্টি খাওয়া যাবেনা।এছাড়াও ইফতারিতে এক কাপ হালিম/এক কাপ ছোলা/ ছোট একটা স্যানডুইচ + খেজুর দুই-তিনটি/ মিক্সড ফল এক কাপ/ একটা আপেল/ একটা নাশপাতি + সালাদ।
মনে রাখতে ইফতারের খাবারের পরিমাণ হবে অন্যান্য সময়ের রাতের খাবারের সমান।
*রাতের খাবারঃ এবং রাতের খাবার শরীরের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ক্যালরির চেয়ে বেশি না হয়।
এসময়ে ভাত/রুটি/খিচুড়ি/ওটস+মাছ/মাংস/ ডিম+শাকসব্জি+সালাদ খেতে হবে।
মনে রাখতে হবে-
১.কোন অবস্থাতেই সেহেরি না খেয়ে রোযা রাখা যাবেনা।
২.রাতের খাবার বাদ দেওয়া যাবেনা।
৩.খাবারের পাশাপাশি ইন্সুলিন এবং অষুধের ডোজ ঠিক রাখতে হবে।
৪. ডায়াবেটিস রোগিদের রোযার সময় আলাদা করে ব্যায়াম করার দরকার নেই,তবে কেও চাইলে রাতের খাবারের পরে ১০/১৫ মিনিট হাটতে পারে।
৫. রোযা রাখা অবস্থায় হাইপোগ্লাইসেমিয়া/হাইপারগ্লাইসেমিয়ার লক্ষন দেখা দিলে রোজা ভাঙতে হবে।
৬. তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে মাছ/মাংসের পরিবর্তে ২/৩ প্রকার ডাল মিক্স করে খাওয়া যাবে।
৭. আলাদা করে করোনা প্রতিরোধ অতিরিক্ত ভিটামিন-সি, কমলা, মাল্টা খাওয়ার প্রয়োজন নেই।
কারণ সব ধরনের শাকসবজিতে ভিটামিন সি আছে এবং সবধরনের ভিটামিন ইমিউনিটি বুস্ট করে।
৮. ভাজা- পোড়া না খাওয়াই ভাল, তবে খুব বেশি খেতে ইচ্ছে করলে ১/২ পিস খেতে পারেন।
-নাজমিন নাহার
#ঘরে_থাকুন_সুস্হ_থাকুন
সুত্রঃ বাঁচাও হেলথ।