banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 565 বার পঠিত

 

বর্তমান সময়ের একটি বড় চ্যালেঞ্জ

বর্তমান সময়ের একটি বড় চ্যালেঞ্জ


কানিজ ফাতিমা


গবেষকরা মনে করছেন আমাদের শিশু-কিশোররা মানসিক দিক থেকে ধীরে ধীরে এক চ্যালেন্জিং পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। গত ১৫ বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী শিশু- কিশোরদের মানসিক সমস্যা (childhood mental illness) এর সংখ্যা এতটাই উর্ধমুখী যে তা প্রায় মহামারী এর রূপ নেবার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

পরিসংখ্যান বলছে –
• প্রতি পাঁচ জনে এক জন শিশু-কিশোর মানসিক সমস্যায় ভুগছে ;

• ADHD ( Attention Deficit Hyperactivity Disorder) অতিরিক্ত অস্থিরতা চঞ্চলতার সমস্যা বেড়েছে শতকরা ৪৩ ভাগ

• কিশোর বিষন্নতা (adolescent depression ) এর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় শতকরা ৩৭ ভাগ

• ১০ থেকে ১৪ বছরের শিশু- কিশোরদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে ২০০%

এসব সমস্যার কারণ হিসাবে যেকয়টি বিষয়টি গবেষকরা দায়ী করছেন তা হলো-

শিশু কিশোররা ছোট বয়েসেই অতিরিক্ত উম্মাদনা সৃষ্টিকারী (over-stimulated and over-gifted with material objects) জিনিস পত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছে- যা তাদের স্বাভাবিক শৈশব থেকে বঞ্চিত করছে এবং সঠিক মানসিক বিকাশকে নষ্ট করছে।

বাবা- মায়ের সঙ্গে ( অন্যান্য আত্মীয়দের সঙ্গে) আবেগ ঘন সম্পর্ক এর অভাব (Emotionally available parents)

অতিরিক্ত চর্বি ও চিনিযুক্ত অস্বাস্থকর খাবার

স্থবির জীবন, শারিরীক কসরতের ওখেলাধুলার অভাব

প্রয়োজনীয় ঘুমের অভাব, বেশী রাত জেগে থাকা

বয়স অনুযায়ী দায়িত্ব ভার না নেয়া

সৃজনশীল খেলাধুলার বদলে মেধা ও শরীরের জন্য নিষ্ক্রিয় খেলনা নিয়ে খেলা

শিশু- কিশোরদের অধিকার সম্পর্কে অধিক সচেতনতা, কিন্তু এর বিপরীতে নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে বোধের অভাব। নিজের সব চাওয়াকে অধিকার মনে করা , পাওয়া নিয়ে কৃতজ্ঞ না হওয়া।

এই সমস্যাগুলোর প্রথম ও প্রধান সমাধান হলো-

বাবা-মায়েদের সন্তানদের সঙ্গে একটিভ সময় কাটানো। নিজেদের ব্যস্ততা কমিয়ে, টেকনোলজির অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে সরিয়ে এনে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করা , আনন্দ করা , আলোচনা করা ও আবেগঘন সময় কাটানো।
এই একটি সমাধান উপরের অনেকগুলো সমস্যা অবসানের মূল চাবিকাঠি।

Facebook Comments