banner

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 458 বার পঠিত

 

এই কবিতার কোনো নাম নেই

এই কবিতার কোনো নাম নেই


সুমাইয়া তাসনিম


১.
বহুক্ষণ আগে নিস্তেজ হয়ে যাওয়া মৃতদেহটার
ফিনকি দিয়ে গড়িয়ে পড়া রক্তে প্রতিফলিত সূর্যটা
কেমন আশ্চর্য উজ্জ্বলতায় ঝিকমিকিয়ে উঠল!
সে রক্তে হাত ছুইয়ে আমি অবাক হয়ে গেলাম,
কৈশোরের মতই দারুণ উষ্ণ সে লাল!

এখানে একটা শুভ্র ফুলের বাগান ছিল।
সাদা বিনয় আর শুদ্ধতার প্রতীক।
এখানকার বাতাস ছিল সুবেহ সাদিকের
প্রথম পরিশুদ্ধ বাতাসের মতই শীতল।
এখন অবশ্য সে সফেদ স্নিগ্ধতা
ক্রমাগত ঢেকে গেছে লাল রক্তে।
লাল মানে ঔদ্ধত্য,
লালে যেন আহ্বান আছে বিপ্লবের!
বাতাস হয়ে উঠছে লু হাওয়ার মত অসহনীয় উষ্ণ।
বহুদূর-দূরান্ত থেকে রক্তের গন্ধ নিয়ে আসা এ বাতাস এসেছে,
মিসর, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, পূর্ব তুর্কিস্তান,
আরাকান, কাশ্মীর থেকে মিন্দানাও হয়ে।
সত্যের সুগন্ধি এত তীব্র কে জানতো!

সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া ছেলেটা তার
গোলাপের মত রক্তাভ ঠোঁটে প্রথম চুমু খেয়েছিল
একটা দু’নলা বন্দুকের হাতলে।
রক্তকমলের মত রাঙ্গা চোখজোড়া থেকে
ঠিকরে বেরিয়ে আসা আগুনের ফুলকিগুলো
শেষবারের মত তার গাল বেয়ে নেমে এসেছিল
কসম আর কিসাসের জন্যে।
কসম! পূর্বসূরীদের রক্ত সিঞ্চিত উর্বরতম মাটিতেই
এবার চাষ হবে যুগান্তরের শ্রেষ্ঠ বিপ্লব।

২.
তন্দ্রাতুর চোখে ঝিমোতে ঝিমোতে
সতচকিত হয়ে সামনে চাইলাম হঠাৎ,
আমি যেন কোথাও নাকারা বেজে উঠতে শুনলাম!
কোথাও কি নতুন করে শপথ হচ্ছে
বায়াত আর-রিজওয়ানের?

Facebook Comments