banner

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 383 বার পঠিত

 

বড়লেখায় কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিয়ে বিয়ে, পরে হত্যা

বড়লেখায় কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিয়ে বিয়ে, পরে হত্যা


নারী সংবাদ


বড়লেখায় এক কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করে এক বখাটে। বিয়ের সাড়ে পাঁচ মাস পর ওই ছাত্রীকে হত্যা করে তা আত্মহত্যা বলে চালায় তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ ব্যাপারে কলেজছাত্রীর বাবা আদালতে মেয়ের স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার প্রতিবেদন ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, কলেজছাত্রী মাধবী রানী বিশ্বাসকে (১৮) কলেজে যাওয়া-আসার পথে এক যুবক উত্ত্যক্ত করত। ৭ মার্চ কলেজের সরস্বতী পূজা শেষে বাড়ি ফেরার সময় মাধবীকে জুড়ী উপজেলার সায়পুর গ্রামের করুণা বিশ্বাসের ছেলে অরকুমার বিশ্বাস নামের ওই যুবক জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। তুলে নেয়ার ২৬ দিন পর অরকুমার বিশ্বাস কলেজছাত্রী মাধবীকে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে। কিন্তু তার বাবা-মা এ বিয়ে মেনে না নেয়ায় বাড়িতে তুলছিল না মাধবীকে। পরে দুই পরিবারের মধ্যস্থতায় সামাজিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।

মাধবীর বাবা অকিল বিশ্বাস অভিযোগ করেন, সামাজিকভাবে বিয়ের পর মেয়ের ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়। বিয়ের সাড়ে ৫ মাসের মধ্যে একটিবারের জন্যও মাধবীকে তার বাবার বাড়িতে যেতে দেয়া হয়নি। ১৮ আগস্ট রাতে স্বামী অরকুমারসহ তার পরিবারের সদস্যরা মাধবীকে মারধর করে। একপর্যায়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর তারা আত্মহত্যার নাটক সাজায়। মাধবী আত্মহত্যা করেছে বলে এলাকায় প্রচারণা চালালেও বাবার বাড়িতে কোনো খবর দেয়া হয়নি। প্রতিবেশী মারফত খবর পেয়ে পরদিন সকালে মাধবীর বাবা ও মা জুড়ী থানায় গেলে পুলিশ তাদেরকে মেয়ের লাশ দেখতে না দিয়েই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। মেয়ের গলায় দায়ের কোপ ও দেহে আঘাতের চিহ্ন থাকার বিষয়টি জেনে অভিযোগ দিতে চাইলে পুলিশ উল্টো হুমকি-ধামকি দেয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিয়ে আসার পরও স্বামীর বাড়ির লোকজন তাদেরকে লাশ দেখতে দেয়নি। শ্বশুরবাড়ির লোকজন মাধবীর পরিবারকে না জানিয়ে লাশ দাহ করে। অবশেষে ২৫ আগস্ট মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫নং আমলি আদালতে স্বামী অরকুমার বিশ্বাসকে প্রধান করে শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ-দেবরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন মাধবীর বাবা।

জুড়ী থানার ওসি মো. জাহাঙ্গির হোসেন সরদার জানান, আদালতের নির্দেশে মাধবী রানীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার প্রতিবেদন ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সুত্রঃ যুগান্তর।

Facebook Comments