banner

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 629 বার পঠিত

 

দ্রুত ডেঙ্গু প্রতিরোধে ১৩ দফা প্রস্তাব

দ্রুত ডেঙ্গু প্রতিরোধে ১৩ দফার প্রস্তাব


ডা. সাকলাইন রাসেল


১. সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হোক। কারণ এডিস মশা দিনের বেলা কামড়ায়। স্কুল কলেজ থেকে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা তাই বেড়ে যাচ্ছে।

২. যেকোন একটা দিনকে ‘ক্লিন ঢাকা দিবস’ ঘোষণা করা হোক। এই দিন সব স্থানে পরিস্কার করবে সিটি কর্পোরেশন, বাড়ীওয়ালা-ভাড়াটিয়া, স্বেচ্ছাসেবকরা।

৩. ঢাকাকে পরিচ্ছন্ন করতে ৭২ ঘন্টার জন্য সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানো হোক।

৪. পূর্বের ন্যায় বিমান থেকে পুরো ঢাকাতে মশানাশক কার্যকর ঔষধ ছিটানো হোক।

৫. ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু কর্ণার চালু করে সেখানে চিকিৎসা জনবল বৃদ্ধি করা হোক।

৬. অতিরিক্ত রোগীর জন্য চিকিৎসক স্বল্পতা কমাতে দ্রুত ও অস্থায়ী ভিত্তিতে বেকার ডাক্তারদের নিয়োগ দেয়া হোক।

৭. ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাড়ী বাড়ী অভিযান চালানো হোক। কোন বাড়িতে এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে জরিমানা করা হোক।

৮. ডেঙ্গু মানেই হাসপাতাল নয়। রোগী সেটেলড থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ঘরে বসেও চিকিৎসা নেয়া যায়। প্রচারণার সময় এ বিষয়টাকে গুরত্ব দেয়া হোক।

৯. ডেঙ্গু সম্পর্কিত সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হোক।

১০. বৃষ্টির আধিক্য জুলাই মাসে বেশি থাকায় প্রতি বছর জুলাই মাসকে ‘ডেঙ্গু সচেতনতা মাস’ ঘোষণা করা হোক।

১১. ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা প্রদানকারী চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের ঝুঁকিভাতার আওতায় আনা হোক।

১২. সিনিয়র ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি ডেঙ্গু এডভাইজারি বোর্ড করা হোক। ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলে এ বোর্ড দ্রুত গাইড লাইন প্রনয়ন ও দিকনির্দেশনা দিবে।

১৩. ডেঙ্গু নাই..নাই..নাই বলে যারা গুজব রটিয়েছেন..তাদেরকে এডিস বন্ধু ঘোষনা করা হোক এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যাবস্থা নেয়া হোক।

ডেঙ্গুর কোন কার্যকর টীকা নেই।
ডেঙ্গুর সরাসরি কোন চিকিৎসা নেই।
কিন্তু..
এটাকে শতভাগ প্রতিরোধ করা যায় শহরটাকে পরিচ্ছন্ন করে।
শ্লোগান হোক..
চল যাই যুদ্ধে..এডিস মশার বিরুদ্ধে।

Facebook Comments