শুধু শিশু নয় বরং বাবা-মা নতুনভাবে জন্ম নেন
ফাতেমা শাহরিন
একজন শিশুর জন্মের সাথে সাথে জন্ম নেয় একজন বাবা-মা। বর্তমানে ‘গুড প্যারেন্টিং’ শব্দটা বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে। বাচ্চা মা বাবার কাছে সবচেয়ে দামী উপহার যেমন তদ্রূপ মা-বাবাও সন্তানের জন্য পৃথিবীতে বড় নিয়ামত। বাচ্চা আমাদের কাছ থেকে জেনে ও শিখে বড় হয়। একবারেই তো আর সবটা জানানো যায় না, আমরাও জানি না। জানতে হবে ধাপে ধাপে। এই ধাপগুলো নির্ধারণের সময় অনেকগুলো ধাপ অতিক্রম করে করে বাবা মা প্যারেন্টিং কিভাবে করতে হবে শিখেন।
এই ধাপগুলো সম্পর্কে জানুন ও তাদের সঙ্গে সবসময় একই আচরণ না করে ওই ধাপগুলো অনুযায়ী আচরণে পরিবর্তন আনুন।
বাচ্চার ব্যক্তিত্ব কেমন তা বুঝার চেষ্টা করুন
কোন বাচ্চা মিশুক কেউবা চুপচাপ, কেউবা শান্ত, কেউবা চঞ্চল। সুতরাং বাচ্চার মর্জি বুঝে সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার পক্ষে অনেক বেশি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করুন। বাচ্চা যদি বিদ্যুৎ চমকানি বা তেলাপোকা দেখে ভয় পায়, তখন সেটা গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া জরুরি। এটা অবহেলা করা অনুচিত।
প্রচুর সময় দিন
নিয়মতান্ত্রিক আর ধরা বাধা সময় না বরং বাচ্চাকে পর্যাপ্ত সময় দিন। বাইরেও তাদের নিজের ইচ্ছামতো ঘুরতে নিয়ে যাও। এটা তাদের সৃষ্টিশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও ভুমিকা রাখবে।
বাচ্চাকে বুঝতে শিখুন
আপনি যদি আপনার বাচ্চাকে বুঝার জন্য গুরুত্ব দেন এবং তা তুলে ধরতে পারেন, সেটা আপনাদের উভয়ের জন্যেই অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যের হবে। শিশুরা চায়, বড়রা তাদের কথাগুলো আগে শুনুক। অনেক পরিস্থিতিই তাকেই সমাধান করতে দিন।
বাচ্চার কাছে নানান পরিচয়ে নিজেকে প্রকাশ করুন
মা বা বাবার পরিচয়টি আপনার কাছে অনেক বেশি আবেগময় অথবা সবচেয়ে পছন্দের হলেও কখনও বন্ধু, কখন শিক্ষক, কখনওবা দর্শক বা কখনওবা আপনার সন্তানকের স্টুডেন্ট হিসেবে বাচ্চার কাছে পরিচিত হোন।
বাচ্চারা অনুকরণ প্রিয়
কিছু বলার চেয়ে করে দেখানোটা বাচ্চাদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্ববহ।মনোযোগী বা কল্পনাশক্তিসম্পন্ন বলে ধারণা করি, তারা তার চেয়েও ঢের ক্ষমতা রাখে তাই আপনি আপনার বাচ্চাকে যেমন ভাবে গড়ে তুলতে চান তেমন আচরণ করুণ।
সুত্রঃ Parenting Guid. ছবির মডেলঃ আমান।