banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 746 বার পঠিত

 

প্যারেন্টিং (সন্তানের না বলা কথা বুঝি)

প্যারেন্টিং (সন্তানের না বলা কথা বুঝি)


ফাতেমা শাহরিন


সন্তানকে বাবা মা প্রাথমিকভাবে চান যাতে মা বাবার মনের মত ভাল সন্তান(?) সন্তান হোক। নিজেদেরকে শান্ত রাখুক। তার জন্য দরকার উপযুক্ত প্ল্যানিং। প্রথম থেকেই যদি সন্তানের না বলা অভিমান, আবেগ, চাওয়া বুঝেন মা-বাবা তাহলে সমাধান হয়ে যায় গোড়ার থেকেই অনেক সমস্যায়।

নিজেকে স্থিতিশীল রাখুন

মা বাবা ও পরিবারের সবাইকে খুব শান্ত ও সংঘবদ্ধ থাকতে হবে। যদি বাড়ীর লোকের মধ্যে মতের অমিল হয় তার কথা না বুঝে, প্রকাশ করতে না দেয় ওদের বিকাশে সুন্দর হবে না। সন্তানরা খুব সহজেই পরিবারের মেরুকরন বুঝতে পারে এবং সেই পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করে।

নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখুন

বাড়ীর মধ্যে সন্তানের সাথে কথা বলুন। সন্তানকে কিছু খেলনা দিয়ে আলাদা করে জানতে চান কেমন কাটলো সারাদিন। লক্ষ্য রাখবেন জায়গাটি যেন সুরক্ষিত হয় কারণ এই সময় সন্তান অনেক কথায় বলতে পারেন। সন্তানের ব্যবহারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবার চেষ্টাও করবেন। অ্যাটেনশন পেলে ওদের মধ্যে শান্ত হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়বে।

ধীরে ধীরে সময় নিন

সন্তান প্রয়োজনীয় কিছু বলতে চাইছে বা বলা শুরু করেছে সময়টা প্যারেন্টিং এ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেই সময় বাচ্চাকে স্নেহের সাথে বোঝাতে হবে সে যা ব্যবহার করছে তা পরিবারের কারোর কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়। তার নিজস্ব চাহিদা নিশ্চয় করে, তা প্রকাশ করতে হবে সংযতভাবে।

সন্তানকে সবসময় উপদেশ নয়

অনেকসময় চুপ হয়ে যায় সন্তানরা এরকম বহি:প্রকাশ ঘটানোর কারণ হল উপদেশ আর শাসন। এখনকার সন্তানরা গন্তব্যস্থল বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় শপিং মল। সেখানে সার সার সুন্দর করে সাজানো খেলনাপাতির সামনে নি:সন্দেহে তাদের চাহিদার পরিমান হয়ে যায় আকাশছোঁয়া। বার বার কাউন্সেলিং করে বুঝাতে হবে আপনারা উপদেশ বা শাসন নয় বরং জানতে চান ওকে বুঝার জন্য।

রেফারেন্সঃ
প্যারেন্টিং আর্টিকেল অনলাইন।

Facebook Comments