banner

শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ইং, ,

পোস্টটি 1458 বার পঠিত

 

ব্যক্তিত্ব প্রকাশে হাসির ভূমিকা


 ফাতেমা শাহরিন


“হাসি” অপূর্ব সুন্দর একটি প্রশান্তকর চারিত্রিক গুন। মানুষের মন ভালো করার জন্য একটু মুছকি হাসি যথেষ্ট। আমরা রোজ সকালে ঘুম থেকে হাসি মুখে উঠি এবং রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত এই সঙ্গীকে আপন করে নিয়েই ঘুমাই। বিশেষজ্ঞরা সম্প্রতি খুঁজে পেয়েছেন, তাঁদের গবেষণানুসারে, ‘হাসি’ ক্যাটকোলেমাইন এবং সহানুভূতিশীল সক্রিয়করণ হরমোন নিঃসৃত করে। যা স্ট্রেস কমাতেও সহযোগিতা করে। সুখী থাকার বা খুশি হওয়ার একমাত্র ও প্রধান উপকরণ হল “সহাস্যমুখ”।

হাসি মন এবং শরীরের মধ্যে সেতু বন্ধন করতে সহযোগিতা করে। যদিও হাসি মানুষদের একটি সাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে অন্যতম।
হাসি সামাজিক বন্ধন তৈরি করতে সহযোগিতা করে, বিবাদ -দ্বন্দ্ব মিটালে সহযোগিতা করে। হাসি পারস্পারিক যোগাযোগের মাঝে আনন্দ এবং স্বস্তিকর সামাজিক পরিবেশ তৈরি করতে ট্রিগার হিসেবে কাজ করে।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে তাই হাসি -খুশিকে নিজের করে নেওয়ার গুরুত্ব বার বার উল্লেখ করা হয়।

 শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা

আপনি যখন হাসতে পারবেন তখন তা আপনার শরীর ও মনকে ভাল রাখবে। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, যিনি প্রাণ খুলে হাসে তাদের, ‘তা’ রক্তচাপ হ্রাস করে, চাপ হরমোন হ্রাস করে এবং পেশী বক্রতা বাড়ায়। তাই হাসি এবং আনন্দ জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নিজের ওপর হাসির নিয়ন্ত্রণ থাকার কারণে জীবনের ছোট-বড় সবটা সুখ পুরোপুরি উপভোগ করতে পারবেন আপনি।

দুশ্চিন্তা কমাতে

হাসি হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সহায়তা করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের হৃদরোগ বা ব্যথা যন্ত্রণা আছে তারা অন্যদের চাইতে হাসির চর্চা কম করেন। এছাড়া সাধারণ জীবনে তাদের হিউমার বা রসবোধটাও কম থাকে।ফলে তারা দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত থাকে। হাসি হৃদপিণ্ড সুস্থ্য এবং দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে।

সুন্দর যোগাযোগ রক্ষার্থে

হাসি মানুষের সম্পর্ক ঘনিষ্ট করতে সাহায্য করে। ইতিবাচক অনুভূতি ফিরিয়ে আনতে এবং একে অপরের মাঝে প্রীতিপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করে।

দৃষ্টিভঙ্গিমায় সুন্দর ইতিবাচকতা 

হাসি হচ্ছে ইতিবাচক সংকেত। আপনি অপরের প্রতি কতটুকু পজেটিভ এবং কত সহজেই অন্যকে বুঝতে পারবে, যে কারা তোমার প্রতি খুশি এর একটি সহজ উপায় হল হাসিমুখ। পৃথিবীতে নানারকম সম্পর্কে আবদ্ধ থাকে মানুষ। আর এই সম্পর্কের ভেতরে কিছু সম্পর্ক খুশির পথে সহায়ক হয়ে কাজ করছে।

সন্মান এবং স্মার্টনেস

মানুষের স্মার্ট ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্যে দরকার পড়ে পোশাক, শিক্ষা, অলংকার, টাকা ইত্যাদি। এসবের জন্যে জীবনে প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয় মানুষকে। একজন মানুষ তার খুশি তখনই খুঁজে পায় যখন বেঁচে থাকার জন্যে নয়, বরং নিজের ভেতরে থাকা ইচ্ছে-আকাঙ্ক্ষাকে পরিপূর্ণতা দেওয়ার জন্যে প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হয় সে।
আর হাসিমুখ একজন মানুষকে বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ স্মার্টনেস এবং নিজের প্রতি নিজের সম্মানবোধকে বাড়িয়ে তুলে।

সুতরাং আমরা বলতে পারি, হাসি যেহেতু স্বেচ্ছাকৃত নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তাই স্বাস্থ্যের অনেকগুলি সুবিধার কথা চিন্তা করেও আমাদের সবসময় হাসিমুখে থাকা প্রয়োজন।

Facebook Comments