banner

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 943 বার পঠিত

 

রক্তাক্ত স্কুলব্যাগ

তাহেরা সুলতানা


“আম্মু, জানো! আইজ শাম্মী কি যে সুন্দর একখান ব্যাগ কান্ধে কইরা স্কুলে আসছিল! শাম্মীর জন্মদিনে ওর মায়ে ওরে কিন্যা দিছে! আমার জন্মদিনে তুমিও কিন্তু ওইরকম একখান ব্যাগ কিন্যা দিবা! না হইলে আমি কিন্তক আর স্কুলেই যামু না! এই আমি কইয়া রাখলাম!” পুরনো স্কুলব্যাগটা বিছানার উপর রাখতে রাখতে রিতা মায়ের কাছে বায়না করে।

রমিছা বেগমের স্বামী ছিলো রিকশাচালক। রিতার যখন ৩ বছর বয়স, তখন তার স্বামী আফাস মিয়া ফুসফুসের ক্যান্সারে মারা যায়! আফাস মিয়া ২ বছর বিছানায় পড়ে ছিল। সেসময় থেকেই রমিছা মানুষের বাসায় কাজ করে সংসার চালাচ্ছে আর মেয়েটাকে মানুষ করছে। মেয়ের পড়াশুনার মাথা খুব ভালো! ক্লাস ফাইভে জিপিএ ৫ পেয়েছে। এখন ক্লাস এইটে পড়ে। সামনেই ফাইনাল পরীক্ষা। এই মেয়েটাই রমিছার ভবিষ্যৎ! মেয়ের কোন অভাব সে কখনো বুঝতে দেয় না!

কাল মেয়েটার জন্মদিন! রমিছা আগেই ওর জন্য একটা নতুন ব্যাগ কিনে রেখেছে। কিন্তু মেয়েটাকে চমকে দেয়ার জন্য আগে থেকে কিছুই বলছে না। তাই সে রান্নাঘরে কাজ করছে আর মেয়ের অভিমানভরা কথাগুলো শুনে মুচকি মুচকি হাসছে!

রিতা মায়ের কাছ থেকে কোন উত্তর না পেয়ে আবারও বলতে লাগলো, “তুমি কিন্তু গতবছর আমার জন্মদিনে কইছিলা, এইবার নতুন ব্যাগ কিন্যা দিবা! আব্বু থাকলে এতোদিনে ঠিকই কিন্যা দিতো!”

কথাটা কানে যাওয়া মাত্রই রমিছার দুচোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো! সে কোনদিন মেয়ের সামনে বাপের খারাপ কোন দিক উপস্থাপন করেনি! অথচ সত্যিটা একমাত্র সেই জানে! আফাস মিয়া কোনমতে রিকশা চালিয়ে যা পাইতো, তা ওই আর দশজনের সাথে তাসের আড্ডায় আর বিড়ি খেয়ে উড়াতো। সংসার কেমনে চলতো, কোনদিন খোঁজও নেয়নি! বাচ্চা মেয়েটার কথাও কোনদিন ভাবতো না। কিছু বললেই মারধোর করতো। রমিছা ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়াশুনা করেছিল। বাপের বাড়ির অবস্থাও ভালো ছিল না। তাই ফাইভে ওঠার পরই বিয়ে হয়ে যায়। তাই তার স্বপ্ন, মেয়েটারে অনেকদূর পর্যন্ত পড়াবে!

আফাসের যখন মরণ ব্যাধিতে ধরলো, তখন রমিছা নিজেই সংসারের হাল ধরলো! রিকশা, ঘর সব বেঁচে চিকিৎসা করানো শুরু করলো। রিকশাটা আফাস বিয়ের সময় রমিছার বাপের কাছ থেকে যৌতুক হিসাবে পেয়েছিল। সব বিক্রি করে অসুস্থ্য স্বামী আর মেয়েটাকে নিয়ে দূরের এক বস্তিতে ঘর ভাড়া নিলো।

আফাসের শরীর দিন দিন খারাপ হতে লাগলো! ডাঃও সময় বেঁধে দিলো! একদিন সন্ধ্যারাতে ঘরে একফোঁটা চালও ছিল না! আফাসের অসুধও শেষ! মেয়েটা ক্ষুধায় চিৎকার করে কাঁদছিল! রমিসা তখন দিশেহারা হয়ে গেলো! হঠাৎ মাথায় আঁচল টেনে মেয়েটারে কোলে নিয়ে কাজের খোঁজে বেড়িয়ে পড়লো। এবাড়ি ওবাড়ি করে ২/৩ জায়গায় কিছু ছুটা কাজও পেয়ে গেলো। তারপর চাল, তরিতরকারি আর অসুধ কিনে মধ্য রাতে বস্তিতে ফিরলো।

ঘরে ঢুকতে না ঢুকতেই আফাসের চড়াগলা শুনতে পেলো। আর সেইসাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ! চরিত্র নিয়ে আজেবাজে কথা বলতেও ছাড়লো না! রমিছা কোন কথায় কান না দিয়ে ঘরের এক কোনে স্টোভে ভাত চড়াতে চলে গেলো। আফাস তো অনর্গল বকবক করেই যাচ্ছে! ও কোন প্রতিত্তোর করলো না। মেয়েটা ততক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছে। ২/৩ বাসা থেকে মেয়েটারে আদর করে যা দিয়েছে, তাতেই ওর পেট ভরে গেছে। আর আদর করবেই না বা কেন! এমন ফুটফুটে মেয়ে কয়জনের হয়!

রমিছা থালা ভরে ভাত আর আলুভর্তা নিয়ে যখন আফাসের সামনে দিলো, তখনও সে গজগজ করছিল! রমিছা যত তাকে শান্ত করছে, সে তত রাগ দেখাচ্ছে! কিন্তু যখন ভাতের থালাটা ছুড়ে ফেলে দিলো, তখন রমিছা অগ্নিমূর্তি ধারণ করলো! আফাস বিনাকারনে অনেকবার রমিছার গায়ে হাত তুলেছে! রমিছা কিচ্ছু বলেনি কোনদিন। কিন্তু কস্টের উপার্জিত টাকায় কেনা ভাতগুলো যখন মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখলো, তখন যেন রক্ত চড়ে গেলো! যা মনে ছিল, সব যেন ঝেড়ে দিলো! সেদিনের পর আফাস সেই যে নিশ্চুপ হলো, আর কোনদিনই গলা উঁচু করে কথা বলেনি। এর কিছুদিন পরেই আফাস মারা যায়!

রমিছার তখন অল্প বয়স! দেখতেও সুন্দর! কতজন বিয়ের লোভ দেখাতো! কেউ কেউ কুপ্রস্তাব দিতেও ছাড়তো না। রাতের বেলা দরজায় এসে ধাক্কাতো! সবসময় রমিছার ভয় ভয় করতো! মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরে গুটিসুটি হয়ে পড়ে থাকতো। দুই এক বাসায় কাজ করতে গিয়ে সেখানেও নানান সমস্যায় পড়তে লাগলো! অবশেষে একটা ভালো সদায়াসকবাসায় কাজ পেলো। বাসার মালিক মেজবাহউদ্দিন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা এবং উনার স্ত্রী ফাহমিদা বেগমও একটা স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন, কিছুদিন হলো অবসরে গেছেন ! বাসায় তারা দুইজন আর একজন কেয়ারটেকার থাকে। ৩ ছেলেমেয়ের কেউই দেশে থাকে না। উনারা রিতাকে খুব আদর করতেন। তাছাড়া রমিছার আচার ব্যবহার দেখেও তাদের ভালো লেগে যায়। রমিছা উনাদের খালাম্মা-খালুজান বলেই ডাকে।

একদিন রমিছা সাহস করে বস্তিতে তার যে সমস্যাগুলো হচ্ছে, সেগুলো ফাহিমা বেগমের কাছে খুলে বলে। আর সেইসাথে মেয়েকে নিয়ে তার স্বপ্নের কথাও জানায়। সবকথা শুনে মেজবাহউদ্দিন সাহেব একদিন সন্ধ্যায় রমিছাকে সাথে করে বস্তিতে আসেন। উনাকে এলাকায় সবাই খুব ভালো জানে বলে, তারপর বেশ কিছুদিন কেউ আর রমিছাকে ডিস্টার্ব করতে আসেনি। এরপর বেশি রাত হলে সেদিন মেয়েকে নিয়ে রমিছা মেজবাহ সাহেবের বাসাতেই থেকে যেতো। অনেক চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে যে মেয়েকে এতোটা বড় করলো, সে কিনা আজ বলছে, “আব্বু থাকলে ঠিক কিনে দিতো!”
এতো কিছু করছে, আর ব্যাগটা না দেয়ার কারণে সব মিথ্যা হয়ে গেলো! রমিছার কস্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছিল! মেয়ের কাল জন্মদিন বলে একটু পায়েস রাঁধছিল। চোখের পানিতে সব যেন ঝাপছা দেখতে লাগলো! মেয়ের ডাকে সম্বিত ফিরে পেলো! মেয়ের আবার একই কথা!

“আম্মু, আমি কি কইছি, শুনছো! কাল আমারে নতুন ব্যাগ না দিলে স্কুলেও যামু না। পড়ালেখাও করমু না। বান্ধবীরা হাসাহাসি করে! এক ব্যাগ নিয়া ৩ বছর ধইর‍্যা স্কুলে যাইতেছি! আমার কোন মানসম্মান নাই!”

রিতা হঠাৎই মায়ের চোখে পানি দেখতে পায়! সে কোনদিন মাকে কাঁদতে দেখেনি! ততক্ষণাৎ দৌড়ে এসে মাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে আর কাঁদতে কাঁদতে বলে, “আম্মু! আমার ব্যাগ লাগবো না! তুমি আর কাইন্দো না! লক্ষী আম্মু! এই আমি কানে ধরলাম! আর কোনদিন নতুন ব্যাগ চামু না! আমার ভুল হইয়া গেছে! আব্বুর কথা বইল্যা তোমারে কষ্ট দিছি! আমারে তুমি মাফ কইর‍্যা দাও!”
একনিমিষে রমিছার সব কস্ট যেন নি:শ্বেষ হয়ে গেলো! মনে হলো যেন, তার মতো সুখী মা এই পৃথিবীতে আর একটাও নাই! ঠিক যেদিন রিতার পিএইসসি এর রেজাল্ট বের হলো, সেদিনের মতো অনুভূতি হলো!

রমিছা মেয়েকে দুহাত দিয়ে সামনে টেনে আনলো আর চোখের পানি মুছে দিতে দিতে বললো, “পাগলি মাইয়া আমার! আমি তো ব্যাগ কবেই কিন্যা রাখছি! দেখ গিয়া! শিতানের কাছে বালিশের নিচে লুকাইয়া রাখছি। তোমারে চমকাইয়া দিবো দেইখ্যা আগে থাইক্যা কিছু কই নাই! তুমি মার্কেটে গিয়া যেইটা দেইখ্যা পছন্দ করছিলা, ওইটাই কিনছি! যাও, দেখো গিয়া!”

রিতা খুশিতে আরও শক্ত করে মাকে জড়িয়ে ধরলো! বললো, “সত্যই! তুমি আমার লিগা ব্যাগ কিনছো! এই জন্যই তো তোমারে আমি এত্ত ভালোবাসি!”

“হইছে! আর আল্লাদ করতে হইব না! এইবার যাও তো মা! হাত-মুখ ধুইয়া খাইতে আসো! তয় একখান কথা মা! আমারে কিন্তু ভালো রেজাল্ট আইন্যা দিবা! খাতায় যেন মেলা নম্বর দেখবার পারি! তোমারে যেন ডাঃ হওয়া দেইখ্যা মরতে পারি! এইডাই কিন্তু আমার স্বপ্ন!” রমিছার হাসিমুখ ভরা অভিব্যক্তি!

রিতা হেসে জবাব দেয়, “পাইবা আম্মু, পাইবা! আমার লিগা খালি এট্টু দোয়া কইরো! তোমার মাইয়া একদিন বড় ডাক্তার হইয়া তোমার সব কস্ট ভুলাইয়া দিবো! দেইখ্যো! কিন্তু আর একবার যদি মরার কথা কইছ, তাইলে কিন্তুক তোমার খবর আছে!”
রমিছা গালভরা হাসি দিয়ে বলে, “আইচ্ছা! আর কমু না! খুশী! এইবার যাও! সন্ধ্যা হইয়া যাইতেছে তো! পড়তে বসবা না!”

“হ! যাইতেছি তো!” এই বলে রিতা এক দৌড়ে ঘরে চলে গেলো।

দূর থেকে মাগরিবের নামাজের সুমধুর আজানের সুর ভেসে আসে। রমিছা দ্রুত কলঘরে অযু করতে চলে যায় আর মেয়েকেও নামাজের জন্য তাগাদা দিয়ে যায়।

মা আর মেয়ে মিলে সেদিন খুব গল্প করে! জানালার ফাঁক দিয়ে চাঁদের আলো এসে পড়ায় ছোট্ট ঘরটাকে যেন একটা স্বপ্নপূরী মনে হচ্ছিল! আর মেয়েটা যখন দুই হাত নেড়ে, মাথা ঝাঁকিয়ে গল্প করছিল, তখন চাঁদের আলোয় ওকে যেন একদম রাজকন্যার মতো লাগছিল! রমিছা মুগ্ধ হয়ে থাকিয়ে থাকে! নিজের মেয়েকেও যেন সে চিনতে পারে না! এই কবছরে মেয়েটা যেন হঠাৎ করেই অনেক বড় হয়ে গেছে! আজ যেন গল্প শেষই হচ্ছে না! মেয়েটাকেও কাছছাড়া করতে ইচ্ছে করছে না! কখন যে রাত ১২ বেজে গেছে, রমিছা টেরই পায়নি! দ্রুত গিয়ে পায়েসের বাটিটা নিয়ে আসে। মেয়ের মুখে পায়েস তুলে দেয় আর মাথায় হাত বুলিয়ে অনেক দোয়া করে! রিতাও মাকে খাইয়ে দেয়!

প্রতিদিনের মতো আজকে সকালেও রিতা স্কুল ড্রেস পড়ে, কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়লো। সকালে কোনদিনই ওর মায়ের সংগে দেখা হয় না! মা সেই ভোরবেলা কাজে বেড়িয়ে যায়! কিন্তু আজ বের হওয়ার সময় কেন যেন মাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে! এদিকে ক্লাসেরও দেরী হয়ে যাচ্ছে! নতুন ব্যাগ কাঁধে স্কুলে যাওয়ার জন্য যতটা না খুশী হওয়ার কথা, ওর ততটা খুশীও লাগছে না! রিতা অনেকটা আনমনা হয়েই আজ বাসা থেকে বের হলো। স্কুলে যাওয়ার পথেই শাম্মীদের বাসা! আজও দেখলো, শাম্মী ওর জন্য বাসার সামনে অপেক্ষা করছে। অনেকটা হাটার পথ! মা যদিও রিকশা ভাড়া দিয়ে দেয়, কিন্তু রিতা প্রায় দিনই হেটে যেতে চেষ্টা করে! প্রতিদিনের মতো আজও ওরা একসাথে গল্প করতে করতে যাচ্ছিল। হঠাৎই একটা গাড়ী ঝড়ের গতিতে ওদের ধাক্কা দিয়ে চলে গেলো! শাম্মী রাস্তার এ পাশে ছিল বলে ও তেমন ব্যথা পেলো না। কিন্তু রিতা কিছু বুঝে উঠার আগেই মাটিতে পড়ে গেলো! সাথে সাথে রক্তের বন্যা বয়ে গেলো! আশেপাশের লোকজন ধর ধর বলে ছুটে আসলো! কিন্তু ঘাতক গাড়ীর আর হদিস মিললো না! সবাই ধরাধরি করে রিতাকে সিএনজিতে তুললো! শাম্মীসহ সিএনজি তখন নিকটস্থ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে ছুটলো! রিতার মাথাটা শাম্মীর কোলে! ভয়ে, আতংকে ও যেন ভাষা হারিয়ে ফেললো! খালি একটু পর পর ডুকরে কেঁদে উঠলো!

রমিছা আজ তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে চায়! মেয়েটার জন্মদিন! তাই ওর জন্য একটু পোলাও আর মুরগীর গোস্ত রান্না করবে! বিকেলে মেয়েটা স্কুল থেকে ফিরেই যাতে খেতে পারে! রমিছা যেসব বাসায় কাজ করে, ভালো ছাত্রী বলে রিতাকে সবাই খুব ভালোবাসে! তাই ওর জন্মদিনের কথা শুনে সবাই কিছু না কিছু দিলো। রমিছা সব গুছিয়ে নিয়ে দ্রুত কাজ সেরে বাড়ির পথ ধরলো! ফেরার পথে বাজার থেকে হাফ কেজি পোলাও এর চাল আর একটা বয়লার মুরগী নিয়ে নিলো। বাড়ির পথটাও যেন আজ বেশী লম্বা মনে হচ্ছে!

বস্তির কাছাকাছি আসতেই দেখলো, একদল লোকের জটলা! বুকটা ধক করে উঠলো! কার আবার কি হলো! দোয়া পড়তে পড়তে নিজের ঘরের দিকে আসতেই রমিছা দেখলো, জটলাটা ওর ঘরের সামনেই! রমিছা এক দৌড়ে ঘরে ঢুকলো! তারপর ও যে দৃশ্য দেখলো, তাতে আর স্বাভাবিক থাকতে পারলো না! জ্ঞান হারিয়ে ফেললো! সবাই ওর চোখে মুখে পানি দিয়ে জ্ঞান ফিরালো ঠিকই! কিন্তু রমিছা যেন পাথর হয়ে গেছে! মেয়ের রক্তাক্ত দেহ আর রক্তমাখা স্কুল ব্যাগটার দিকে নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকলো! সবাই মিলে রমিছাকে কাঁদানোর খুব চেষ্টা করলো! কিন্তু কেউই একফোঁটা চোখের পানি বের করতে পারলো না!

আজও রমিছা রক্তমাখা স্কুল ব্যাগটা বুকে করে রিতার স্কুলের পথটায় বসে থাকে! কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে বলে, “তার মেয়ের আজ জন্মদিন! নতুন ব্যাগ কিনে এনেছে! মেয়ে স্কুল থেকে বের হলেই ব্যাগটা ওকে দিবে!” বি:দ্র: বাসের ধাক্কায় মৃত বাচ্চাগুলোর স্মরণে।

Facebook Comments